বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশ্বাস দিয়েছে, যে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নই। যারা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক,তাদের সবাই টিকা পাবেন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে করোনার টিকার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স নামের বৈশ্বিক উদ্যোগে যৌথ নেতৃত্ব দিচ্ছে ডব্লিউএইচও।
এ উদ্যোগের যৌথ নেতৃত্বে ডব্লিউএইচও ছাড়াও রয়েছে দ্য কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপআই) ও দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (গ্যাভি)।
বুধবার হু এর সহকারী মহাপরিচালক মারিয়াঞ্জেলা সিমাও এ আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষ যেন করোনাভাইরাসের টিকা পায়, তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থাটি কাজ করছে। সবার টিকা প্রাপ্তি প্রসঙ্গে ডব্লিউএইচও’র এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘কারও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কারণ, আপনি টিকা পেতে যাচ্ছেন।’
সামাজিক মাধ্যমের এক লাইভ অনুষ্ঠানে সিমাও বলেন, ‘সব দেশ,সব মানুষের টিকা পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে তারা কঠোর পরিশ্রম করে চলছেন।’
সহকারী মহাপরিচালক জানান,বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশ করোনার টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। সেগুলোর মধ্যে ৪০ টির বেশি উচ্চ আয়ের।
কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী মাসে টিকার সরবরাহ শুরু হতে পারে। বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশ ইতিমধ্যে কোভ্যাক্স উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে।
২০০ কোটি ডোজ করোনার টিকা পেতে পাঁচটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোভ্যাক্সের চুক্তি হয়েছে। উদ্যোগে যুক্ত প্রতিটি দেশের ২০ % মানুষের জন্য চলতি বছরের শেষ নাগাদ টিকা সরবরাহ করতে চায় কোভ্যাক্স।
হু সহকারী মহাপরিচালক বলেন,‘ আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ করোনার টিকার প্রথম চালান কোভ্যাক্স উদ্যোগে যুক্ত দেশগুলোয় পৌঁছাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।’
কয়েকদিন আগে ডব্লিউএইচওর মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস সতর্ক করেছিলেন, বিশ্বজুড়ে করোনার টিকার ন্যায্য প্রাপ্তির অঙ্গীকার গুরুতর ঝুঁকিতে পড়েছে। অসম নীতির কারণে বিশ্ব একটি ‘বিপর্যয়কর নৈতিক ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে’ বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। এ অবস্থায় তিনি কোভ্যাক্স উদ্যোগের বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারের ডাক দেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক , ২১ জানুয়ারি ২০২১
এজি