চীনের জিয়াংশু প্রদেশের হুয়াক্সি গ্রামটি সবাই কোটিপতি ।গ্রামের প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে এমন একটি করে বাড়ি।
থিমপার্ক, হেলিকপ্টার ভাড়া, আকাশচুম্বী ভবন এবং বিলাসবহুল বাড়িসহ সবই রয়েছে এক গ্রামে। এখানে বসবাসরত সকলেরই ব্যাংকে সঞ্চয়ের ১ মিলিয়ন ইউয়ান (চীনের মুদ্রা) এর বেশি, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১ কোটি টাকারও বেশি। চীনের জিয়াংশু প্রদেশের হুয়াক্সি গ্রামটি তার এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কেড়ে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রামের খেতাব।
কোটি টাকার পাশাপাশি গ্রামটিতে বসবাসরত পরিবারগুলোর প্রত্যেক সদস্যের জন্যই রয়েছে একটি করে গাড়ি এবং বাড়ি। কিন্তু কেউ যদি কখনও গ্রাম ছেড়ে চলে যায় তবে তার সকল কিছুই বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
৭২ তলা আকাশচুম্বী টাওয়ারের ৬০ তলায় কয়েকটন সোনায় তৈরি হয়েছে এই ষাঁড়ের মূর্তি।
গত মাসে ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে সমাজতন্ত্রে পরিচালিত এ গ্রামটি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং প্রচুর কৃষি পণ্য উৎপাদিত গ্রামটি জিয়াংশু প্রদেশের জিয়ানগিন শহর প্রশাসন পরিচালিত এ গ্রামটিতে।
লং উইশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সোনার ঝলকানি।
গ্রামটিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে লং উইশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল। হোটেলটিতে ৮২৬টি রুমের মধ্যে ১৬টি প্রেসিডেন্সিয়াল এবং একটি গোল্ড প্রেসিডেন্সিয়াল রুম। গোল্ড প্রেসিডেন্সিয়াল রুমে একরাত কাটাতে একজনকে ব্যয় করতে হয় ১ লাখ ইউয়ান, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টাকা।
চীনের বাণিজ্যকেন্দ্র সাংহাই থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দুরত্বে এ গ্রামটির রয়েছে নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা। তবে তা গাড়ি নয়, হেলিকপ্টার। টংইয়ং এয়ারলাইন কোম্পানি রয়েছে এর ব্যবস্থাপনায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গ্রামের আশেপাশের শহরগুলোতে যেতে ১০ মিনিটেরও কম সময় লাগে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:৩০ পি,এম ১৯ নভেম্বর ২০১৬,শনিবার
ইব্রাহীম জুয়েল