চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে ভাসমান বেডে শীতের সবজি চাষ ও চারা উৎপাদনে কৃষকের ব্যাপক সাফল্য এসেছে। কৃষক ও কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় ভাসমান বেডে জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানার মাধ্যমে ভাসমান বেড তৈরি করে সবজি ও চারা চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষকরা লভবান হচ্ছেন।
বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার অধিকাংশ নিচু জমি পানির নিচে চলে যায়। তখন কৃষকের তেমন কাজ থাকে না। বর্ষার ভরা মৌসুমে যখন শাক সবজির আকাল থাকে, তখন এ চাষাবাদে কৃষক পরিবার নিজেদের কর্ম সৃষ্টি ও বিষমুক্ত উৎপাদিত সবজি বাজারে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
চউপজেলার বাঘপুর গ্রামের আবদুল কাদেরসহ এ পদ্ধতিতে গ্রামের শত শত কৃষক কামতা থেকে গল্লাক ওয়াপদা খালের পাশে ভাসমান বেডে শীতের সবজি চাষ ও চারা উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর অববাহিকার ভাটি অঞ্চল ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু এলাকা বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে থাকায় সেখানে অধিকহারে এ পদ্ধতিতে চাষাবাদের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের চাষাবাদে রাসায়নিক সার ব্যবহার না হওয়ায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ফরিদগঞ্জে সেকদি এলাকা ও বাঘপুর এলাকায় ১৫/২০ ফুট দৈঘ্যের ২শ বেড তৈরি করে ভাসমান বেডে সবজি চাষ করছে। এ বেডগুলোতে মিষ্টি কুমড়া, লাউ, কলমী শাক, লাল শাক, শসা, ডাটা শাক ও ধনিয়া পাতা আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলার বাঘপুর গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের ও মো: ফাহাদ হোসেন জানান, আমি কয়েক বছর ধরে কচুরিপানা স্তুপ করে সবজি চাষ করে আসছি। বর্তমানে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ভাসমান বেডে সবজি চাষ করছি। আগের তুলনায় এখন বেশি লাভবান হচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, ভাসমান বেডে সবজি চাষে কৃষকদের জন্যে সহায়তা এবং পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। ভাসমান বেডে বিষমুক্ত সবজি চাষ হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। এ কারণে বাজারে ঐসব সবজি চড়া দামে বিক্রি হয়। এখানকার কৃষক ভাসমান বেডে বিষমুক্ত সবজি তৈরীতে খুবই পারদর্শী।
করেসপন্ডেট,১৮ অক্টোবর ২০২০