সবজি ও ফলে কীটনাশকের উপস্হিতি : কমছে শুক্রাণু

৬ এপ্রিল, ২০১৫  ০১:১৬

চাঁদপুর টাইমস  স্বাস্থ্য ডেস্ক :

বিশ্বাস করুন আর না ই করুন সবজি ও ফলে কীটনাশকের উপস্হিতি থাকছেই। উৎপাদনের সময় এবং এর পরবর্তী ধাপে সবজি এবং ফলে কিছুটা কীটনাশক থেকেও যায়। আর যেসব পুরুষ উচ্চমাত্রার কীটনাশকযুক্ত ফল ও শাকসবজি বেশি খান তাদের বীর্যের গুণগত মান কমার পাশাপাশি শুক্রাণুর সংখ্যাও যায় অনেক কমে। এর এক পর্যায়ে ওই পুরুষ সন্তান উৎপাদনে অক্ষমও হয়ে যেতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় এমন আশঙ্কাজনক তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, যারা কীটনাশকযুক্ত ফল ও শাকসবজি বেশি খায় তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা যারা এসব কম খান তাদের অর্ধেক।

গবেষণায় পুরুষের বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে মদ, তামাক, বিনোদনমূলক ওষুধকে বিপজ্জনক বলে উঠে এসেছে। অতিরিক্ত ওজন এবং আটসাঁট অন্তর্বাসও এজন্য দায়ী করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি কীটনাশক তথ্য প্রোগ্রাম বিভাগের আওতায় গবেষণাটি করা হয়। এজন্য একটি ফার্টিলিটি সেন্টারে ২০০৭-২০১২ সাল পর্যন্ত ১৫৫ জন পুরুষের বীর্য নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণায় পুরুষদের কাছে জানতে চাওয়া হয় কি পরিমাণ কীটনাশকযুক্ত ফল ও শাকসবজি তারা গ্রহণ করেন। এরপর তাদের মধ্য কম, মধ্যম, উচ্চমাত্রার কীটনাশকযুক্ত ফল ও শাকসবজি গ্রহণের মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, মটরশুটি, শিম, আঙুর ও পেঁয়াজে কীটনাশক কম থাকে। কারণ এগুলোতে কৃষকরা কম পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারে। অন্যদিকে মরিচ, লতাপাতা, আপেল, নাশপাতি ও স্ট্রবেরির রোগ নিধনে কৃষকরা বেশি পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করায় সেগুলোতে কীটনাশক বেশি থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ কীটনাশকযুক্ত ফল বা শাকসবজি বেশি খেয়েছেন তাদের শ্রক্রাণুর সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের বীর্যের গুণগত মানও নষ্ট হয়েছে। ফলে ওইসব পুরুষের উর্বরতা শক্তি কমে গেছে এবং তাদের সঙ্গী সন্তান ধারণ করতে পারছেন না।

গবেষক হার্ভাড ইউনির্ভার্সিটির পুষ্টি ও এপিডেমিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জর্জ চাভারো বলেন, পুরুষকে ফল বা শাকসবজি খেতে অনুৎসাহিত করতে এ গবেষণা করা হয়নি। মূলত এ গবেষণা করা হয়েছে, শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাসের সাথে কীটনাশকযুক্ত ফল বা শাকসবজির কোনো সম্পর্ক অছে কি না- তা জানতে। আর অপ্রত্যাশিতভাবে হলেও গবেষণায় সেটিই প্রমাণিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষের একবারের স্খলনে যে বীর্য বের হয় তার প্রতি মিলিলিটারে দেড় কোটির বেশি শুক্রাণু থাকলে তা স্বাভাবিক।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

Share