Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
সবজি

হাজীগঞ্জে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্তো হয়ে পড়েছে কৃষকরা। বর্ষার পানি নামার সাথে শুরু হয় শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষমাত্রা। যে কারণে মাঠে হাঁটু পানি থাকা অবস্থায় কচুরি পানাসহ নানা আবর্জনার স্তুপ পৌচন করে সেখানে সবজির চারা রোপণ করেছে।

প্রতিবছরের ন্যায়ে এভাবে এখানকার কৃষকরা শীতের শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করে আসছে। ইতোমধ্যে সবজি উৎপাদনে নির্ধারিত সময়ে বাজারে বিক্রির লক্ষে প্রখর রৌদের মাঝেও কাজ করে আসছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, প্রত্যাপপুর, রামচন্দ্রপুর, সাদ্রা, সমেশপুর, সদর ইউনিয়নের অলিপুর, কৈয়ারপুল ও সুবিদপুর,কালচোঁ ইউনিয়নের নওহাটা,ভাজনাখালসহ উপজেলার প্রায় ১৫-২০ টি কৃষি মাঠে শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করতে দেখা যায়। এসব এলাকার বেশির ভাগ চাষিরা প্রথমে নিজেদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সবজি চাষ শুরু করলেও বর্তমানে পুরো দমে বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ শুরু করে আসছেন।

উপজেলার বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়নের গোবিন্দপুর প্রায় ১৫ একর জমিতে সবজি চাষের কাজ করতে দেখা যায় কয়েকজন কৃষককে। এরা হলেন, গোবিন্দপুর ভৃঁইয়া বাড়ীর মৃত আলী আহমেদের ছেলে আকিতউল্ল্যা ও মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে আ.রহিম। তারা সম্পর্কে চাচাতো জেটাতো ভাই। তাছাড়া একই গ্রামের মুকতার আহমেদ, মনির হোসেন,নজরুল ইসলাম,রফিকুল ইসলাম ও আছিয়া বেগম।

এরা সবাই অন্যের জমি বর্গা ও সনকাটা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করে। যে কারনে বর্ষার শেষ সময় থেকে তিন মাসের সবজি চাষের লক্ষে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, শিম গাছসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি লাগানো শুরু করেন। আগামি এক থেকে দেড় মাস পর সবজি বাজারে বিক্রির জন্য নেওয়ার লক্ষ রয়েছে। যত দ্রুত বাজারজাত করা যায় তত লাবের মুখ দেখতে পাবো।

এসব সবজি ৯০ দিন পর আবার আরো ৯০ দিনের জন্য আলু, টমেটো,কাচাঁ মরিচসহ নানা সবজির চাষ শুরু হবে। এর পরই আবার ইরি বোরো ধান চাষাবাদ হবে বলে এখানকার কৃষকরা জানান। তবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কৃষি বীজ, কীটনাশক এমনকি করোনার সময়ে কোন প্রনোদনা আজ পর্যন্ত পাইনি।

অলিপুর গ্রামের কৃষক চান মিয়া চলতি বছর ২ একর জমিতে এবারই প্রথম মিষ্টি কুমড়া গাছ লাগিয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে বলে বিশ্বাস করেন। শীতের পর গ্রীষ্মের শাকসবজি চাষ করবেন বলে তিনি জানান।

একই গ্রামের রহিম মিয়া, মনু মিয়া, ইয়াছিন প্রতিবছর শাকসবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বলে জানা যায়। তারা শীতকালীন সবজির পর ঝিঙে, করলা, চিচিংগা, পুঁইশাক, ডাঁঁটাশাক, কচু শাক, কচু মুখীসহ সবধরনের শাকসবজি জমিতে চাষ করে আসছেন। তবে তাদের অভিযোগ উপজেলা কৃষি সম্পসারণের পক্ষ থেকে পাননি কোনো সুযোগ সুবিধা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন,‘যখন বরাদ্ধ ছিল তখন তালিকাভূক্ত কৃষকরা সার বীজ পেয়েছে। এখন বন্ধ হয়ায় এসব অভিযোগ করছে। তবে ইউনিয়ন ভিত্তিক কৃষকদের জন্য সরকারের পক্ষ থোকে প্রনোদনার কাজ চলছে।’

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২ নভেম্বর ২০২১
এজি