ব্যস্ততম চাঁদপুর শহর সন্ধ্যা না নামতেই ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। যেখানে সব সময় টইটম্বুর থাকে অটোরিক্সা, সিএনজি, রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন আজ সেখানে সুনসান নিরবতা।
শহরের শপত চত্ত্বরের পশ্চিম পাশে লঞ্চঘাটের রাস্তা, আর উত্তর পাশে রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এবং পূর্ব পাশের ডান ও বামে শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন সড়ক কিন্তু করোনাভারাস আসার পর থেকে পাল্টে গেছে শহরের চিত্র। হুইসেল বাঁজে না কোনো ট্রেন বা নৌযানের, এ যেন পাল্টে দিয়েছে শহরের বুকের চিত্র।
লঞ্চ,ট্রেন আর বাসস্টেশনকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করত অনেকে। ফলে এখন তারা বেকার হয়ে পড়ায় শঙ্কায় রয়েছে পরিবার। খেটে খাওয়া মানুষের নেই জমানো পুঁজি। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও এখন তা ২৫ এপ্রিলে গিয়ে পৌঁছেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে শহরে আসছে না কোনো যাত্রী।
এদিকে চাঁদপুরে বৃহস্পতিবার লকডাউনের পর থেকে আরো সুনসান হয়ে পড়ে শহরের পাড়া-মহল্লা। বেশির ভাগ এলাকাগুলোতে স্থানীয় বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছে।
এদিকে শুক্রবার শহরের নাজিরপাড়া, মাদ্রাসা রোড, রহমতপুর কলোনী, ঘোষপাড়া, গুয়াখোলা রোডসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বাঁশের বেড়া দিয়ে লকডাউন করে রাখা হয়। এছাড়া স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে সড়কে নেমে জীবাণুনাষক স্প্রে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,১১ এপ্রিল ২০২০