Home / আন্তর্জাতিক / সন্তানের মাংস কেটে খেলো মা!
সন্তানের মাংস কেটে খেলো মা!

সন্তানের মাংস কেটে খেলো মা!

‎Saturday, ‎27 ‎June, ‎2015  3:22:32 PM

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কঙ্কালকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতে এক নারী তার সন্তানের মাংস খেয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

শুক্রবার অনলাইন ‘এই সময়ে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের মালদায় এক নারী তার চার বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে, মেয়ের মাথার মাংস কেটে খাচ্ছিলেন। রক্তাক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। এরপর ওই মহিলাকে তারা বেঁধে রেখে, মারধর করলেও ডাক্তাররা বলছেন, মানসিক বিকৃতি রয়েছে ওই নারীর।

মালদার ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামে বাস করেন ৪২ বছর বয়সি প্রমিলা মণ্ডল। তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করতে দিল্লি গেছেন বেশ কয়েক বছর হল। পাঁচ সন্তানের মা প্রমিলার দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে দু বছর আগে। দু বছরের একটি ছেলে, আট ও চার বছরের দুটি মেয়েকে নিয়ে থাকতেন প্রমিলা।

তার প্রতিবেশী ডাবলুর স্ত্রী বলছেন, ‘আমাদের বাড়ি প্রমিলার বাড়ির পাশেই। আমার স্বামী ওদের বাড়ি থেকে ছোট মেয়ে ভারতীর চিৎকার শুনতে পান। গিয়ে দেখেন ভারতী তার মায়ের কোলে বসে চিৎকার করে কাঁদছে। আর মা প্রমিলা ভারতীর মাথার থেকে চামড়া কেটে খাচ্ছে। সেই দৃশ্য কী ভয়াবহ, তা বলে বোঝানো যাবে না। সেইসময় ঘুমোচ্ছিল প্রমিলার ছেলে স্বর্ণ।’

ডাবলু ও তার স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে ভারতীকে তার মায়ের কাছ থেকে উদ্ধার করে, নিয়ে যায় মালদা মেডিকেল কলেজে। সে এখন ICU-তে ভর্তি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের লোকেরা প্রমিলাকে তার বাড়িতে বেঁধে রেখে মারধর করে। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে প্রমিলাকে উদ্ধার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার কথা স্বীকার করলেও, কেন তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তা বলতে পারছেন না প্রমিলা।

অনেকে অভিযোগ করেছেন মাদকের নেশায় তিনি এই কাজ করেছেন। আবার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মরত চিকিত্‍‌সক দীপালি মণ্ডল বলছেন, ‘খিদের চোটে ওই নারী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, এটা আমি মনে করি না।’ প্রমিলার মানসিক বিকৃতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এমন অনেক ঘটনার কথা শোনা যায়, যেখানে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানের প্রতি অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে থাকেন।’

চাঁদপুর টাইমস : ডিএইচ/২০১৫

চাঁদপুর টাইমস প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না