জাতীয়

করোনাভাইরাস ইস্যুতে ঢাকায় আসছে চীনের চার বিশেষজ্ঞ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টায় সহায়তা দিতে বাংলাদেশে আসছেন চীনের চারজন বিশেষজ্ঞ। দেশে মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম তৈরির জন্য তারা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সরকারের অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবেন। এদেশে তিনমাস অবস্থান করবেন তারা।

ইতোমধ্যে তারা ভিসা পেয়ে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। তিনি বলেন, ‘এই চারজনই চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিনোভাশিও সংস্থায় কর্মরত। এই সংস্থাটি মহামারি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চীন সরকারকে সফলভাবে সহায়তা করেছিল।’

মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমের কাজ হচ্ছে মহামারির তথ্য সংগ্রহ করে একটি দ্রুত মডেলিং তৈরি করা এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ এজেন্সি ও স্থানীয় পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে গবেষণালব্ধ তথ্য পৌঁছে দেয়া। এর মাধ্যমে নব্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পদ্ধতিও আছে।

রোববার (২৬ এপ্রিল) চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চিকিৎসক, নার্স এবং প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞদের একটি চীনা চিকিৎসা দল ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশে আসছে।’

পাশাপাশি পুরোপুরি চীনা অর্থায়নে গড়া চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রকে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য একটি অস্থায়ী হাসপাতালে রূপান্তর করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

চীন মুসলিম দেশগুলোর পাশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, চীনা চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষজ্ঞ দল ইতোমধ্যে ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, পাকিস্তান এবং আফ্রিকার অন্যান্য মুসলিম দেশে পাঠানো হয়েছে। চীন এ পর্যন্ত নিরীক্ষা কিট, টিউব, ভেন্টিলেটর, মাস্ক, থার্মোমিটার, গগলস এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামসহ লাখ লাখ চিকিৎসাসামগ্রী ও উপকরণ প্রদান করেছে।’

বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা আরও একবার’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলো এবং জ্যাক মা ফাউন্ডেশন ও আলিবাবা ফাউন্ডেশনের মতো দাতব্য সংগঠনগুলোও বাংলাদেশকে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসাসামগ্রী ও উপকরণ দিয়েছে। রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের জন্য টনকে টন চালবাহী কার্গোগুলো চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলো করোনা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট সব অসুবিধা ও হতাশার পরেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আপনাদের আবারও নিশ্চিত করছি যে, আরও ভালো ও অংশীদারত্বমূলক ভবিষ্যতের জন্য এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।’

বার্তা কক্ষ, ২৭ এপ্রিল ২০২০

Share