দায়িত্বে অবহেলা, অনুপস্থিতি ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ২২ চিকিৎসক-কর্মচারিকে শোকজ করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদেরকে শোকজ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন চিকিৎসক রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মজিবুল হকের স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিটি অভিযুক্ত চিকিৎসকদের স্ব-স্ব নামে পাঠানো হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক হোসনে আরা বেগম দায়িত্বরত কাজে চাঁদপুরের বাইরে থাকায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধান সহকারী মো. সফিউল আলমের কাছে তথ্য চাইলে তিনি এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপারগতা করেন। তবে ভারপ্রাপ্ত তত্তা¡বধায়ক ডা. মো. সালেহ আহমেদ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. মো. সালেহ আহমেদ জানান, অনিয়ম কিংবা দায়িত্ব অবহেলার জন্য নয় প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকায় তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মজিবুল হক হসপাতাল পরিদর্শনে এসে হাজিরা খাতায় অনেকের স্বাক্ষর পান নাই। এতে করে তিনি ২২ চিকিৎসক-কর্মচারিকে শোকজ করেছেন। তবে সে তালিকায় কতজন চিকিৎসক বা কর্মচারি তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি।
তিনি আরো জানান, যাদেরকে শোকজ করা হয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় ৫/৭ জন চিকিৎসব ওইদিন বিভিন্নভাবে ছুটিতে ছিলো। আর অনেকে উপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে ভুলে গিয়েছিলেন। প্রত্যেকের স্ব-স্ব নামে শোকজের চিঠি পাঠানোয় তারা আলাদাভাবে এর জবাব পাঠিয়ে দিয়েছেন।
প্রধান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক মো. সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমাদের নিজস্ব। আর তত্ত¡াবধায়কের অনুপস্থিতিতে আমি কোনো তথ্য দিতে পারবো না। তত্ত¡াবধায়ক তিনদিন পর চাঁদপুরে এলে তখন আপনারা ওনার কাছ থেকে এ বিষয়ে জেনে নিয়েন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ কম খরচে সরকারি সেবা পাওয়ার প্রধান চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল। শুধু তাই নয় এ জেলা পাশ্ববর্তি আরো দু’তিনটি জেলার হতদরিদ্র মানুষগুলো সরকারি সেবা পেতে অত্র হাসাপালে ভিড় জমায়।
অথচ সরকারি এ হাসপাতালের চিকিৎসকগদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নির্ধারিত সময়ে আসা-যাওয়ার নিময় না মানাসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ভুক্ত ভোগী সাধারণ মানুষের দাবি শুধুমাত্র হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না থাকাই নয় সকল বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি চিকিৎসকদের অনিয়ম অনেকটাই কমে আসবে। আর এতে করে সাধারণ মানুষ সরকারি চিকিৎসা নিতে আরো বেশী উৎসাহিত হবে।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, আশিকি বিন রহিম
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭ : ০০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮,মঙ্গলবার
এইউ