‘সতীত্বের পরীক্ষা’য় ফেল করায় পঞ্চায়েতের নির্দেশে বিয়ের মাত্র ‘সতীত্বের পরীক্ষা’য় ফেল করায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বিচ্ছেদ করেছেন এক যুবক। মধ্যযুগীয় এ ঘটনা সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক জেলায় ঘটেছে।
জানা গেছে, গত মাসের ২২ মে বিয়ে করেছিলেন নাসিক জেলার ওই যুবক। এর পরেই স্থানীয় খাপ গ্রাম পঞ্চায়েত ওই যুবককে তার স্ত্রীর সতীত্ব পরীক্ষা নেওয়ার উপদেশ দেয়। পঞ্চায়েতের নির্দেশে যুবক ফুলশয্যার রাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাঁর স্ত্রীর সতীত্বের পরীক্ষা নেন।
এর পর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিয়ের আগেই নববধূ সতীত্ব হারিয়েছেন। তাই নববধূকে ছেড়ে দিতে হবে। পঞ্চায়েতের এই পরামর্শেই বিয়ের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ওই যুবক তাঁর স্ত্রীকে ত্যাগ করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকার সমাজসেবী রঞ্জনা গাভান্দে জানিয়েছেন, নববধূর পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, বিয়ের আগে তিনি পুলিশে চাকরির চেষ্টা করেছিলেন। সেই চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দৌড়, হাইজাম্প, লংজাম্প, সাইকেল চালানোসহ তাঁকে নানা রকমের শারীরিক কসরত করতে হয়েছিল।
এ ছাড়া ওই নারী নিয়মিত খেলাধুলাও করতেন বলেও জানান তিনি। ফলে তাঁর সতীচ্ছেদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই নারী সতীত্ব নিয়ে টানাটানি করা কিংবা তার চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয় বলে জানান রঞ্জনা গাভান্দে।
এই একই ধরনের মত প্রকাশ করেছেন এলাকার অন্যান্য সমাজসেবীও। এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবার পাত্রপক্ষ ও স্থানীয় খাপ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৯:৩৩ পিএম, ০৩ জুন ২০১৬, শুক্রবার
এইউ