শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাও.ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, দেশের আলেমসমাজ করেনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মসজিদগুলোতে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তা অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। সারা দেশ থেকে এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। এটা খুবই দুঃখজনক। উপদেশ,পরামর্শ,নিষেধাজ্ঞায় যখন কাজ হচ্ছে না । তখন জনস্বার্থে বা জনকল্যাণের জন্য সরকারের উচিত অ্যাকশনে যাওয়া। সতর্কতা সবার জন্য।
কেউ সতর্কতা মানবে আর কেউ মানবে না—এটা হতে পারে না। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আলেমদের মতামত নিয়ে ৮ ধরনের ব্যক্তিকে আপাতত মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তাঁরা হচ্ছেন যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত,যাঁদের সর্দি,কাশি,গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে; যাঁরা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন; যাঁরা ওই ধরনের মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন; যাঁরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,বয়োবৃদ্ধ, দুর্বল মহিলা ও শিশু, যাঁরা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত এবং যাঁরা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাঁদেরও মসজিদে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আমি এ পরামর্শের সঙ্গে একমত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা মসজিদে যাবেন তাঁদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিয়ে যেতে হবে। একজন চিকিৎসক যে ধরনের সুরক্ষা নিয়ে থাকেন, সেই ধরনের সুরক্ষা নিতে হবে।
কেউ নিজেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত আশঙ্কা বোধ করলে তাঁর কোনোভাবেই মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় উচিত হবে না। অনেকের ধারণা, করোনাভাইরাসে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাওয়া যাবে।
কিন্তু আমার অসতর্কতা যদি আরো অনেকের মৃত্যুর কারণ ঘটায়, তার জন্য দায়ী কে হবে? বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার সতর্ক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণে ব্যর্থ হই । তাহলে মহাবিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
মৌলিকভাবে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়ে কোথাও শিথিলতা দেখা গেলে সরকারকে জনস্বার্থেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম , ১ এপ্রিল, ২০২০