১৯৮৬ সালে জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পাড়ি জমান সিলেট সদর উপজেলার মেজবাহ উদ্দিন। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে কাজ করছেন কুয়েতের কুয়েত ফ্লার মিল বেকারিস নামে একটি সরকারি কোম্পানিতে।
সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরুর পর নিজের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার মধ্য দিয়ে কোম্পানির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে পদোন্নতি পান মেজবাহ।
বুধবার নিজের মাতৃভূমি সিলেটের উদ্দেশ্যে কুয়েত ত্যাগ করবেন এই প্রবাসী। পাসপোর্টে বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়াতে কুয়েতের নতুন আইন অনুযায়ী পুনরায় আকামা নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুনামের সঙ্গে কাজ করায় ও পেশাদারিত্বের কারণে বিদায় বেলায় কোম্পানি তাকে একটি প্রশংসাপত্র এবং প্রাপ্য বেতন ছাড়াও নগদ দুই হাজার দিনার (বাংলাদেশি প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা) উপহার হিসেবে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কুয়েত প্রবাসী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমার কাজ করার ইচ্ছা ও শক্তি থাকা সত্ত্বেও দেশে চলে যেতে হচ্ছে।
প্রবাসে যেমন সৎ ও হালাল পথে চলেছি, জীবনের বাকি সময়টুকু পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন নিয়ে চলতে পারি মহান আল্লাহ দরবারে এ প্রত্যাশা।
বার্তাকক্ষ, ১৯ নভেম্বর,২০২০;