সারাদেশ

প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী সখীপুরে

প্রেম কোনো বাধা মানে না। মানে না সীমান্তের কাঁটাতার কিংবা বংশ পরিচয়। এবার তা আবারও প্রমাণ করেছেন মালয়েশীয় তরুণী জুলিজা বিনতে কাশেম। প্রেমের টানে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ২২ বছরের এই তরুণী।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভোরে প্রেমিক মনিরুলের সঙ্গে টাঙ্গাইলের সখীপুরে তাদের বাড়ি যান।

এ দিন রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়েও দেওয়া হয়।

মনিরুলের পরিবার সূত্র জানায়, মাস ছয়েক আগে মালয়েশীয় তরুণী জুলিজার সঙ্গে মনিরুলের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রস্তাব দিলে মনিরুল তাতে সম্মতি দেন। পরে জুলিজা প্রেমের বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রেখে বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসেন।

মনিরুল ইসলাম সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইমান আলীর ছেলে ও সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করেন জুলিজা। ভ্রমণ ভিসায় ১৭ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।

ঢাকায় বিমানবন্দরে নামার আগে থেকেই জুলিজা প্রেমিক মনিরুল, তার মা মনোয়ারা ও নানা আমজাদ আলী অপেক্ষা করছিলেন।

শুক্রবার ভোরে তাকে নিয়ে মনিরুল মামা নওশের শিকদারের বাড়িতে ওঠেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিয়ের প্রস্তুতি চলছে।

জুলিজা জানান, প্রেমের টানে তিনি বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। মনিরুলকে বিয়ে করতে পেরে বেশ খুশি তিনি।

দেশে ফিরে তিনি বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানাবেন। এরপর মনিরুলকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবেন জুলিজা।

মনিরুল ইসলাম জানান, জুলিজাকে বিয়ে করে বেশ আনন্দিত। সে খুবই সহজ-সরল ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে।

নিউজ ডেস্ক
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১১ :৩০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার
এইউ

Share