মালিকানা দ্বন্দ্বে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গন্ধর্ব্যপুরে মেসার্স কনা ঝিকঝাক ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ইটভাটার জন্যে ভাড়া দেয়া ভূমি মলিকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভুয়া চুক্তিনামা দিয়ে ব্রিক ফিল্ডটি দখলের পায়তারা করছেন জনৈক আবদুল কুদ্দুস কমিশনার, এমন অভিযোগ করছেন ইটভাটার মালিক মহিনউদ্দিন মাইনু।
তিনি বুধবার সকালে ফিল্ডের অফিস কক্ষে ভূমি মালিকদের সাথে এ বিষয়ে এক আলোচনায় মিলিত হন এবং ভাটার কার্যক্রম ধরে রাখতে ভূমি মালিকদের প্রতি আকুতি জানান।
এ বিষয়ে মালিক মহিনউদ্দিন মাইনু সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০১১ সালে তিনি নিজের ৭৫ শতাংশ জমির উপর এবং এলাকার বেশ কয়েকজন থেকে চুক্তিতে সাত একর জমির উপর পরিবেশ ছাড়পত্রসহ সরকারি সকল অনুমতি নিয়ে এ ব্রিক ফিল্ডের কার্যক্রম শুরু করেন। এর ফাঁকে তার আপন বোন জামাই শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুস (কমিশনার) তার সাথে ১৭ লাখ টাকা ঋণের মাধ্যমে ব্যবসায় যোগ দেন। সে থেকে ফিল্ডের কার্যক্রম চলে আসছে। হঠাৎ গত কয়েক মাস থেকে আবদুল কুদ্দুস এ ফিল্ডটি তার নিজের বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং একটি ভুয়া চুক্তিনামা তৈরি করে বিভিন্ন প্রচার করছেন। সে থেকে এ ফিল্ডের কার্যক্রম প্রায় সাময়িক স্থগিত রয়েছে।
মহিনউদ্দিন মাইনু আরো জানান, আবদুল কুদ্দুস শুধু মালিকানা দাবি করেন নাই তিনি তার বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটাচ্ছে। এমতবস্থায় তিনি এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ফিল্ডের ভূমি মালিক দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মমিন, নরু আহম্মেদ ভাট, আব্দুল হাই, আনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েক জন জানান তারা মহিউদিদন মাঈনুর সাথে তাদের জমি চুক্তির মাধ্যেমে বাৎসরিক ভাড়ায় এ ফিল্ডকে দেওয়া হয়েছে। এখন কুদ্দুছ ভূয়া মালিক সেজে এ ফিল্ডটি দখলের পায়তারা করছে। এ দ্বন্দ্বে তারা ভূমি ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ভূমি হারানোর আশংকা করছেন।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, কনা ঝিকঝাক ব্রিক ফিল্ডটি এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে বিশাল বিলের উচু মাটি রয়েছে। আশপাশে বসত বাড়ি এবং ফসলি মাঠ না থাকায় এখানে ইট পোড়ানোর জন্য উপযুক্ত ভাটা হিসাবে কার্যক্রম আগামী একশ বছর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ইট ভাটা গড়ে উঠায় গন্ধর্ব্যপুর, হরিপুরসহ আশপাশের শতাধিক স্থানীয় শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মালিকানা দ্বন্দ্বে চলমান ভাটার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হাজীগঞ্জ
৩১ অক্টোবর, ২০১৮