Home / শীর্ষ সংবাদ / ডা. দীপু মনি ‘ফোরাম অব ওম্যান পার্লামেন্টের’ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত

ডা. দীপু মনি ‘ফোরাম অব ওম্যান পার্লামেন্টের’ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি ) ১৩৬তম আইপিইউ সম্মেলনে ফোরাম অব ওম্যান পার্লামেন্টারিয়ানস শীর্ষক সেমিনার শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে অনুষ্ঠিত হয়।

এ সেমিনারে ডা. দীপু মনি আগামী ‘ফোরাম অব ওম্যান পার্লামেন্টের’ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।

ডা. দীপু মনি জাতীয় সংসদে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর সদর-হাইমচর) আসনে প্রতিনিধিত্ব ও পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছর তিনি আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে ঘোষিত কমিটিতে পুণরায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটির নারী চেয়ারম্যান মনোনিত হয়েছেন।

দীপু মনি এমন একজন বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদ যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের জয়লাভের পর বাংলাদেশে প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ পান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি বিশ্বব্যাপি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উনয়ন কর্মসূচি এবং অঞ্চলের বৈদেশিক নীতির বিষয় এবং সংবিধান ও আইনের আওতায় নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য আইন, স্বাস্থ্য নীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করেছেন।

মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও লীগের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাষাবীর এম.এ ওয়াদুদের কন্যা ডা. দীপু মনি ঢাকা হলিক্রস কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হতে এমবিবিএস ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএলবি পাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি ১৮৭ বার বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন এবং ৬০০ দিন পার করেছেন।

তিনি তৌফিক নেওয়াজের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি এক মেয়ে এক ছেলের মা।

তাঁর বাবা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার আন্দোলনসহ ছাত্র ও বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে ফোরাম অব ওম্যান পার্লামেন্টারিয়ানস শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা বিশ্বে সংসদগুলোতে নারীদের গড় অংশ গ্রহণ ২৩ শতাংশ। এটাকে ৫০ এ উন্নীত করার জন্য ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) কাজ করছে।

স্পিকার বলেন, প্লানেট ৫০-৫০ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে। সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পশ্চাৎপদ নারীদের এগিয়ে নিয়ে আসতে নারী দারিদ্র দূরীকরণ পদক্ষেপ, নারীদের তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

জেন্ডার সমতা নিরসনেও বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার। তবে এখনও জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্লানেট ৫০-৫০ অর্জনে কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যেমন তৃণমূলের নারীদের বিভিন্ন স্কিমে সহায়তা করা। বিশেষ করে বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা।

তবে প্লানেট ৫০-৫০ অর্জনে সরকারের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-এখনও নারীদের বেতন বৈষম্য রয়েছে।

নারীরা কাজের ক্ষেত্রে বেশি আন্তরিক বলে মনে করেন স্পিকার। যে কোন কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে করার দৃষ্টান্ত নারীদের রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন।

আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আইপিইউ সারা বিশ্বব্যাপী নারী বৈষম্য নিরসনে কাজ করছে। আইপিইউ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সংসদ সদস্য ও পার্লামেন্টের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে কিভাবে নারীর বৈষম্য কমিয়ে আনা যায়, তার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

তিনি বলেন, নারী বৈষম্য কমিয়ে আনতে আইপিইউ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এজন্য সদস্য দেশের পার্লামেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন সময় মতবিনিময় করা হয়।

এই সেশনে ২০৭ জন নারী সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকে তার দেশে নারী অগ্রসরে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪: ৪০ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply