Home / চাঁদপুর / সংবাদ প্রকাশে চাঁদপুর টাইমসকে প্রাণনাশের হুমকি
সংবাদ প্রকাশে চাঁদপুর টাইমসকে প্রাণনাশের হুমকি

সংবাদ প্রকাশে চাঁদপুর টাইমসকে প্রাণনাশের হুমকি

হাজীগঞ্জের রাশিদার পরকীয়া প্রেমের সংবাদ প্রকাশের পর বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ায় রাশিদার আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে চাঁদপুর টাইমসকে প্রাণনাশ ও মামলা-হামলার হুমকি প্রদান করে।

জানা যায়, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জে নিজের স্বামী সন্তান থাকা সত্ত্বেও অপর পুরুষকে বিয়ে না করেও পরকীয়া প্রেমিকের সাথে বসবাস করছে এক নারী। আর তাদের অবৈধ মিলনের ফলে কয়েক মাসের সন্তান ওই নারীর গর্ভে। অবৈধ এ প্রেমে বাধা দিলে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করে ওই নারী। বিষয়টি নিয়ে এলাকা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার রাশিদার স্বামী চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার আবুল বাশার (রতন) এসে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়। যা আমরা রেকর্ড হিসেবে অনলাইনে নিউজের সাথে প্রকাশ করেছি।

পরবর্তীতে ওই নিউজটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেলে তা দেখে রাশিদার রাজনীতি করে এমন আত্মীয়স্বজন চাঁদপুরের একজন সিনিয়র সাংবাদিককে ফোন করে প্রতিবেদককে মেরে ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়।

আজ শনিবার দুইটায় ফোন করেও ওই লোকেরা এই সাংবাদিকের নামে মামলা করার হুমকি প্রদান করে।

জানা যায়, ২০০০ সালের নভেম্বরে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ওই একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের কন্যা রাশিদা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে পর পর তাদের দু’সন্তান জন্ম নেয়। এক পুত্র সন্তানের নাম সিরাজউদ্দৌলা (৯) অপর কন্যা সন্তানের নাম সাকেরা চৌধুরী (১২)।

বিবাহিত জীবনের মধ্যে স্বামী আবুল বাশার রতন মাঝে মাঝে লক্ষ্য করেন যে, তার স্ত্রীর দূর সম্পর্কের এক ভাই দেওদানা গ্রামের মজিবুর রহমান যার ঢাকায় বাড়ি রয়েছে সে মাঝে মাঝে এসে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। তিনি প্রথমে কিছু বুঝতে না পারলেও ক্রমে ক্রমে বিষয়টি আঁচ করতে পারেন।

আবুল বাশার রতনের কাছ থেকে জানা যায়, ওই মজিবুর রহমানের সাথে বিয়ের আগেই তার স্ত্রী রাশিদার প্রেম ছিলো। বিয়ের পর ওই প্রেমের সূত্র ধরেই সে তাদের বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতো এবং মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে রাত যাপন করতো। গত রমজানের সময় ওই মজিবুর রহমান তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ সময় তার স্ত্রী রতনকে ৫শ’ টাকা দিয়ে বাজারে যেতে বলে। রতন বাজারে গিয়ে ফিরে আসে তার স্ত্রীকে হাতেনাতে মজিবুর রহমানের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে তার স্ত্রী রাশিদা বেগম রতনের গলা চেপে ধরে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। পরে গ্রাম্য শালিসে বিষয়টির মিমাংসা হয়।

রতন জানান, আমি আমার দু’ সন্তানের ভবিষ্যত ও পড়াশুনার কথা চিন্তা করে আমার স্ত্রীকে সাবধান করে দেই এবং তাকে তালাক প্রদানে বিরত থাকি। কিন্তু তার স্ত্রী তার কথা না শুনে ওই মজিবুর রহমানের সাথে আরো বেশি করে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।

পরে আরো একদিন তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন রাতে রতন ঘুমিয়ে গেছে মনে করে মজিবুর রহমান রাতে তাদের রুমে এসে রতনের স্ত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়। রতন বিষয়টি দেখে ফেললে তার স্ত্রী ও শালিকা এসে উল্টো রতনকেই হুমকি ধমকি দিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে।

রতন জানায়, তাদের উভয়ের চাকুরির সুবাদে তারা এক সময় হাজীগঞ্জে বাসা ভাড়া নেয়। ওই সময় মজিবুর আবারও ওই বাসায় এসে তার স্ত্রী রাশিদার সাথে মেলামেশা শুরু করে। রতন বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীকে বাধা দিলে তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে তার নামে জায়গা সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। অবশেষে রতনের স্ত্রীর লোকজনের চাপের মুখে অসহায় রতন তার স্ত্রীর নামে সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি লিখে দিতে বাধ্য হয়।

এরপরই রতনের স্ত্রী রাশিদার আচরণ আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এই সময় সে প্রকাশ্যেই হাজীগঞ্জের সিরাজ মঞ্জিলের বাসায় তার পরকীয়া প্রেমিক মজিবুর রহমানের সাথে একত্রে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করা শুরু করে। একদিন রতন বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ফুল দিয়ে বেডরুম সাজিয়ে বসে আছে। রতন বিষয়টির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার স্ত্রী তাকে বাসা থেকে জোর করে বের করে দেয়। রতন অসহায়ভাবে বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রীকে কিছু বলতে চাইলে তাকে আর ওই বাসায় উঠতে দেয়নি।

এদিকে রতনের কাছ থেকে জানা যায়, তার স্ত্রী রতনের গচ্ছিত এক লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণগহনা আসবাবপত্র ইত্যাদি নিয়ে বর্তমানে তার পরকীয়া প্রেমিকের সাথে বসবাস করছে। মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রীর অবৈধ পরকীয়া মিলনের ফলে বর্তমানে রতনের স্ত্রীর গর্ভে মজিবুর রহমানের বাচ্চা জন্ম নিয়েছে।

জানা যায়, রাশিদা বেগম হাজীগঞ্জ চিলড্রেন একাডেমীর একজন শিক্ষিকা। একজন শিক্ষক হয়ে এ ধরনের অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকায় হাজীগঞ্জবাসী তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে।

উপায়ন্তর না পেয়ে রতন এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

অডিও রেকর্ড শুনতে ক্লিক করুন :

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫