চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলমকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি বদলী (ওএসডি ) করা হয়েছে । গত ১৭ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক অফিস আদেশে তাকে ওএসডি করা হয় ।
সোমবার (২১ মে) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আপাতত জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহাবুদ্দিন ভারপ্রাপ্ত চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করবেন বলে ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে ।
গত ১৫ মে ‘চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষার নিরব চাঁদাবাজী : শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ’ শিরোনামে চাঁদপুর টাইমসে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে শহরের শিক্ষকদের কাছ থেকে ৩শ টাকা চাঁদা তুলে চাঁদপুর প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
সরকারি পরিপত্র ছাড়া ও স্কুল বন্ধ রেখে এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষকবৃন্দ ছাড়াও সুধী সমাজে প্রশ্নবিদ্ধ ও শিক্ষকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় চাঁদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ নিজেদের খামখেয়ালিপনায় অর্থ আত্মসাতের চিন্তায় মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ছাড়া প্রতি মতবিনিময় সভার নামে শিক্ষকদেরকে কাছ থেকে চাঁদা গ্রহণ করার অভিযোগ উঠে। এসব চাঁদা উত্তোলনে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্লাস্টার প্রধান এটিওদেরকে।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাদেশে জিওবি খাত থেকে অগ্রিম ১১ কোটি ৯১ লাখ ১৪ হাজার চারশত আশি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
একই প্রজ্ঞাপনে এ অর্থ থেকে প্রতিটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে জনপ্রতি শিক্ষকের নাস্তা বাবদ ২৪০, সম্মানি ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া আছে।
কিন্তু এসব বরাদ্দ থেকে ব্যয় না করে শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করায় তাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন ঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জানলে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলমকে ওএসডি করা হয় ।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ খোরশেদ আলমের সাথে গতকাল সোমবার রাতে (২১ মে )তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি বদলী করা হয়েছে । বিষয়টি সত্য । কি কারণে করা হয়েছে তা আমার জানা নেই ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেছি । শিক্ষকদের সেখানে আপ্যায়ন করা হয়েছে এবং অতিথিদের ক্রেস্ট দেয়া হয়েছে । তার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছে । এখানে কোন ভুল কিংবা ক্রুটি কিছু তো দেখছি না ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব কিছু তো নীতিমালা কিংবা পরিপত্রে থাকে না । প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি। সে আলোকেই প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় সভার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম । তারপরও এ নিয়ে অনলাইন ও পত্রপত্রিকায় নানা কথা লিখছে।
চাঁদপুর টাইমসের রিপোর্ট