চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ ও শাহরাস্তি উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। দু’উপজেলা মোট ৯৩ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১০ ইউনিয়নে মোট প্রার্থী ছিলো ৪শ’ ৮১ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪৬ জন আর সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য প্রার্থী হচ্ছেন ৪শ’ ৩৫ জন। মোট ভোটার ছিলো ১ লাখ ৬০ হাজার ৭শ’ ৬৭ জন।
ফলাফলে আওয়ামী লীগ ৫, বিএনপি ১, স্বতন্ত্র ২, দু’ ইউনিয়নের দু’কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকায় সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। সেখানের একটিতে আওয়ামী লীগ, অপরটিতে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।
এদিকে ভোটগ্রহণের সময় জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ৫ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছে।
অধিকাংশ কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও এজেন্টদেরকে পাওয়া যায়নি। কিছুটা নির্ভরযোগ্যসূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সমর্থক ও এজেন্টদেরকে আগের দিন রাতে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই প্রার্থীদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিএনপির অবস্থান ভোটকেন্দ্রে লক্ষ্য করা যায়নি।
সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। সংঘর্ষের কারণে মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ঘোড়াদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দু’একটি কেন্দ্রেবিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে কেন্দ্র দখল নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন কম বেশী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইউনিয়নগুলোর সরেজমিন ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। আবার কোথাও কোথাও দেখা যায় শাসক দলীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে ভোট কেন্দ্রেভোটাররা ভোট না দিয়ে আক্ষেপ নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ৯টায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি উত্তর ইউনিয়নের আছলছিলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেনারী-পুরুষ ভোটার উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার কৃষি কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম পাঠান জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হচ্ছে। তার কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৪শ’ ৩৮ ও বুথ ৫টি। পৌনে ২ ঘন্টায় প্রায় ২শ’ ৩০ ভোট কাস্টিং হয়।
সকাল সোয়া ১০টায় নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ কারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা কানু রায় চৌধুরী জানান, ৫টি বুথে মোট ভোটার ১ হাজার ৬শ’ ৯৩ ভোট। ওই সময়ে প্রায় ৫শ’ ভোট কাস্টিং হয়। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক।
বেলা পৌনে ১২টায় প্রিজাইডিং মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন জানান, ৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৭ ভোট। প্রায় ৪শ’ ৫০ ভোট কাস্টিং হয় বলে তিনি জানান।
বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোড়াধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শাসকদলীয় নেতাকর্মীদের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্র দখল করে ভোট সিলিং করতে দেখা যায়। তবে প্রিজাইডিং অফিসার পিংড়া হযরত শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন তপাদার অনেকটাই অসহায় হয়ে শাসক দলীয় নেতাদের সাথে সমঝোতা করে সিলিং-এ সহায়তা করতে দেখা যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আধারা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটার উপস্থিতি নেই। বুথে অবস্থানরত এজেন্টসহ পোলিং অফিসাররা অলস সময় পার করতে। তবে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার মতলব রয়মননেছা মহিলা কলেজের প্রভাষক আবুল কাশেম জানান, তার কেন্দ্রেমোট ভোটার ১ হাজার ৫ ও বুথ ৩টি। মোট ভোট কাস্টিং হয় ৬শ’ ৫০।
বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে পেয়ারীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কেন্দ্রে থেমে থেমে ভোট গ্রহণ হতে দেখা যায়। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আঁচলছিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্য গোপাল সরকার জানান, কেন্দ্রেমোট ভোটার ১ হাজার ৭শ’ ২৭টি ও বুথ ৬টি। মোট ভোট কাস্টিং ১ হাজার ২শ’।
বেলা পৌনে ২টায় নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের আশি^নপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শাসকদলীয় নেতাকর্মীরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। প্রিজাইডিং অফিসার মতলব উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমিরণ বিশ^াস জানান, তার কেন্দ্রেমোট ভোটার ২ হাজার ৩শ’ ৭৯ জন ও বুথ ৮টি। মোট ভোট কাস্টিং ১ হাজার ২শ’।
দিনের পৌনে ৩টায় নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেগিয়ে দেখা যায় কোনো ভোটার উপস্থিতি নেই। প্রিজাইডিং অফিসার মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন জানান, পরিবেশ অনেকটাই শান্ত। তার কেন্দ্রেভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯শ’ ৫৮ জন। মোট বুথ ৬টি। কাস্টিং ভোট ১ হাজার ৩শ’ ৪৬টি।
শাহরাস্তি উপজেলায়ও ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যদিয়ে ৬ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮ টা হতে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। সকাল হতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মতো থাকলেও পরবর্তীতে তা দেখা যায়নি। নির্বাচনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো লক্ষনীয়।
ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যদের তৎপরতা থাকলেও ক্ষমতাশীন দলের লোকরা পরোয়া করেনি। ভোট শুরু হওয়ার পর সকাল ১০ টায় চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের হাঁড়িয়া কেন্দ্রে দু’প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ ঘটনার পর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে গেলে ১ ঘণ্টা পর পুনরায় ভোট গ্রহন শুরু হয়। একই সময় ওই ইউনিয়নের উঘারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সাময়িক ভাবে কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত হওয়ার কিছুক্ষন পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের খিলাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। অপরদিকে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের কাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে কেন্দ্র দখল করার সময় পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। ওইসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
বেলা দেড়টার দিকে রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একদল দুর্বৃত্ত জোরকরে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ভেঙ্গে সীলমারা ব্যালট পেপার নিয়ে যায়। এ সময় তারা ৫ টি বুথ হতে ৫ টি ব্যালট বই ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়।
সুচীপাড়া উত্তর ও দক্ষিন ইউনিয়নের চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, চেড়িয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নরিংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট ও দখলের অভিযোগ তুলেছেন প্রতিপক্ষরা। এ কয়েকটি ঘটনা ব্যাতীত পুরো নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহন ছিলো শান্তিপূর্ণ।
এদিকে সর্বশেষ খবরে দক্ষিণ উপজেলার ৪ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয় লাভ করেছে।
নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নে মো. মিজানুর রহামন সেলিম (নৌকা) ৪৫৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান সরকার (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৩০১০ ভোট।
নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম (আল-মামুন) প্রতীক নৌকা ৫৩২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মজিদ তালুকদার (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৪৭৯৪ ভোট।
উপাদী উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো শহীদ উল্লাহ প্রধান প্রতীক নৌকা ৯২৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল কাইয়ুম খান (আনারস) পেয়েছেন ৩০৩৬ ভোট।
উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম মোস্তফা (নৌকা) ৮২০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপির মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী (ধানের শীষ) পেয়েছেন ২৫১০ ভোট।
শাহরাস্তিতে ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১, বিএনপি ১ ও স্বতন্ত্র ২ জন বেসরকারিভ ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
আর বাকী ২ ইউনিয়নের মধ্যে রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী সেলিম পাটওয়ারী লিটন ৮শ’ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন কিন্তু ১ কেন্দ্র স্থগিত রয়েছে। একই উপজেলার চিতষী পূর্ব ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবু ইউসুফ পাটওয়ারী এগিয়ে রয়েছেন সেখানে ১ কেন্দ্র স্থগিত থাকার কারণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
শনিবার (৭ মে) রাত ৯টায় শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিশাত পারভীন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম.এ.আজিজ এসব তথ্য জানান।
সুচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার ৩ হাজার ৯ শত ৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হাবীবুর রহমান পাটোয়ারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৩ শত ৮৭ ভোট।
সুচীপাড়া দক্ষিন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী বিএনপি) মোঃ আঃ রশিদ ৩ হাজার ৩ শত ৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী আওয়ামীলীগ) মোঃ মাসুদ আলম পাটোয়ারী পেয়েছেন ৩ হাজার ২৬ ভোট।
চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নে বিএনপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান জোবায়েদ কবির বাহাদুর ৪ হাজার ৩ শত ৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৭ শত ৭৬ ভোট।
রায়শ্রী দক্ষিন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী বিএনপি) মোঃ আবু হানিফ ৩ হাজার ১ শত ২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডাঃ মোঃ আঃ রাজ্জাক পেয়েছেন ২ হাজার ৬ শত ২৫ ভোট।
রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নে গোলযোগের কারণে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত হওয়ায় ওই ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
এতে ৮ টি কেন্দ্রে বিএনপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম পাটোয়ারি লিটন ৩ হাজার ৭ শত ৪৫ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ মোশারফ হোসেন ২ হাজার ৭ শত ৭৪ ভোট পেয়েছেন।
চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে গোলযোগের কারণে একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় ওই ইউনিয়নের ফলাফলও স্থগিত রাখা হয়েছে।
এতে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু ইউসুফ পাটোয়ারী ৩ হাজার ২ শত ৯৬ ভোট পেয়েছেন। বিদ্রোহী বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জিঃ মোঃ আলম বেলাল ২ হাজার ৯ শত ৪৫ ভোট পেয়েছেন।
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট : আপডেট ৩:০০ এএম, ০৮ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ