সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চাঁদপুর, পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত ৫০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনে চাঁদপুর উভয়পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রুপ নিয়েছে। ৪ আগস্ট রোববার বেলা ১১টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী এবং সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলমান এই সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সড়ক ভবন, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, পুলিশ বক্স ও এসিল্যান্ড অফিস। ভাঙচুর করা হয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি বাসভবন।

রোববার সকাল ১০টায় শহরের বাসস্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় ছাত্রলীগ অবস্থান নেন পার্শ্ববর্তী ইলিশ চত্বরে। এক পর্যায়ে বেলা ১১টা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকবিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এসময় এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এতে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে অনেকেই ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে অন্য শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

এদিকে ছাত্রলীগের উপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হামলার খবর পেয়ে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসটেন এলাকায় জড়ো হয় এরপর দুপুর ২ টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে একপর্যায়ে দুপুর দুইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফের বাস স্টেশন এলাকা দখলে নেয় সেখান থেকে তারা বিকেল পাঁচটার দিকে মিশন রোড এলাকা এবং কালীবাড়িত্ব এলাকা দখলে নেয়।

এদিকে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুরাতন বাবস্ট্যান্ড থেকে সরে গিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের সড়ক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-ইমরান খাঁনসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

স্টাফ করেসপন্ডেট, ৪ আগস্ট ২০২৪

Share