চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মতলব সেতুর উত্তর পাশে বেড়িবাঁধের দক্ষিণ এলাকায় অবস্থিত টোল প্লাজা এলাকায় আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হামলা এবং গাড়ি ও মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জৈষ্ঠ্য পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপুকে প্রধান আসামি করে রোববার (৪ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বিল্লাল হোসেন তপাদার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তাঁর পিতার নাম মোখলেছুর রহমান তপাদার।
মামলার এজাহারে বিল্লাল হোসেন তপাদার উল্লেখ করেন, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের আয়োজিত তৃণমূল নেতাদের সভায় যোগদানের জন্য গত শনিবার সকাল আটটা থেকে মতলব সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুল ও সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা জড়ো হন।
আরও পড়ুন… মতলবে কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর , আহত ১৫
সকাল সাড়ে নয়টায় ওই পথ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জেলা শহরে যাওয়ার সময় সাংসদ রুহুলের অনুগত নেতা-কর্মীরা তাঁদের বানানো মঞ্চে ওই নেতাদের অভিনন্দন জানান। সেখান থেকে মন্ত্রী দিপু মনি, মাহবুবুল আলম হানিফ ও সাংসদ রুহুলসহ অন্যান্য নেতারা চলে যাওয়ার পর সকাল পৌণে ১০টায় সেখানে মায়া চৌধুরীর অনুগত নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সাংসদ রুহুলের কর্মীদের ওপর হামলা চালান।
এ সময় তাঁরা সাংসদ রুহুলের লোকজনকে মারধর করেন এবং রুহুলের অনুসারীদের ২৫-৩০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মঞ্চসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ছবিসম্বলিত ব্যানারও ভাঙচুর করেন। এতে সাংসদ রুহুলের ১০ কর্মী আহত হন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, হামলার ওই ঘটনায় রোববার সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০৭ জনসহ মোট ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন বিল্লাল হোসেন তপাদার। এজাহারভুক্ত আসামিরা মায়া চৌধুরীর অনুগত নেতা-কর্মী ও সমর্থক। এ মামলায় সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্টাফ করেসপন্ডেট