দূর্গাপূজায় চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মন্দির ভাঙ্গচুর,হিন্দুদের বসতঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,লুটপাট,অগ্নি সংযোগসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে চাঁদপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ অক্টোবর শনিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাঁদপুর কেন্দ্রিয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এ গণঅনশন ও গণঅবস্থানে চাঁদপুরের হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
এছাড়াও হিন্দুধর্মালম্বিদের বিভিন্ন সংগঠন আলাদা আলাদা ব্যনার নিয়ে ছোট ছোট মিছিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
এরমধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদ,হিন্দু মহাজোট, হিন্দু যুব মহাজোট,জাগো হিন্দুপরিষদ,হিন্দু ছাত্র মহাজোট,আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন),শারদাঞ্জলী ফোরাম,হিন্দু ছাত্র ফোরাম,গীতা স্কুল পরিচালনা পরিষদ,চাঁদপুর সনাতনী কল্যাণ সোসাইটি,সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, জাসদ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন মন্দির কমিটি ও দূর্গাপূজা মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো একাত্মতা পোষণ করে অংশ নেন।
চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.রনজিৎ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পরিষদের উপদেষ্টা অজয় কুমার ভৌমিক, সন্তোষ দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায় চক্রবর্তী,সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা,চাঁদপুর পৌর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভাষ্কর দাস,চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুশীল সাহা,সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্র ধর, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রুপালী চম্পক, কৃষ্ণা সাহা, বাসদ চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক শাহজাহান তালুকদার,খ্রিস্টান এসোসিয়েশন জেলার নেতা মমিন্দ্র বর্মন, ইসকন চাঁদপুরের সভাপতি জগদানন্দ দাস ব্রহ্মচারী,গীতা স্কুল পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা রাজীব চন্দ্র শীল, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অপু কুমার বিশ্বাস, চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আইনজীবী পরিসদের নেতা প্রবাস সাহা,চাঁদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি বাসুদেব মজুমদার, চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মু্ন্না, মতলব দক্ষিণ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা শ্যামল দাস, ব্যবসায়ী পরেশ মালাকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন,‘এবারের শান্তিপূর্ণ শারদীয় দূর্গাপূজায় চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মন্দির, প্রতীমা, বাড়িঘর,ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এদেশের হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রতি নষ্ট করতে বার বার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংখ্যালঘুদেরও সমান ভূমিকা রেখেছে। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার এতো বছর পরেও কথায় কথায় আমাদের উপর হামলা করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন,‘এদেশে বিগত দিনে যারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। যার ফলে এটি এখনো চলমান রয়েছে। আমরা সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার দাবি জানাই।আমাদের অধিকার আদায় ও নিরাপত্তা দাবির আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে চলবেই৷ সমাবেশে দ্রুত সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করার দাবি জানান বক্তারা।’
আশিক বিন রহিম , ২৩ অক্টোবর ২০২১
এজি