শিক্ষাঙ্গন

সংক্ষিপ্ত হচ্ছে প্রাথমিকের সিলেবাস

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে আগামী ৩০ মার্চ খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। তবে চলতি বছর তিন মাস পিছিয়ে পড়ায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সিলেবাস রিভিউ করে কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। চিন্তা-ভাবনা চলছে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা বাতিল করারও। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ২০২০ সালের প্রায় অধিকাংশ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। চলতি বছরও তিন মাস পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। যেহেতু আমাদের তিন মাস পার হয়ে গেছে, তাই সিলেবাস কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন এবং প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছয়দিন ক্লাস নেয়া হবে। শিক্ষকরা ক্লাসে কী পড়াবেন, কীভাবে পড়াবেন না, কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন— এ জন্য একটি লেসন প্ল্যান (পাঠ পরিকল্পনা) ও শিক্ষক নির্দেশিকা গাইড তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তককে (এনসিটিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ক্লাস শুরুর আগে পাঠ পরিকল্পনা ও নির্দেশিকার ওপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান ডিপিই মহাপরিচালক।

গত এক বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠ্যপুস্তকের কিছু অধ্যায় নতুন বছরের সিলেবাসে যুক্ত করা হচ্ছে। এ বছরের ক্লাস অনুযায়ী কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাদ দিয়ে পড়ানো হবে। এই সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হবে। কীভাবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ানো হবে সে বিষয়ে পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে ছয়মাস পরপর বছরে দুটি সাময়িকী পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে। এসব পরীক্ষায় যারা পাস করে তাদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হয়। গত এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পরীক্ষা ছাড়াই তাদের অটোপাস দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হয়েছে।

এদিকে, আগামী ৩০ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ঘোষণা দেয়া হলেও বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যেতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হলেও প্রথম সাময়িক পরীক্ষা না নেয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে। শুধু দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হতে পারে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৮ মার্চ ২০২১

Share