জাতীয়

সংক্রামক রোগ গোপনে শাস্তির বিধান খসড়া অনুমোদন

বাংলাদেশের সরকার নতুন এক আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে যার আওতায় সংক্রামক রোগের তথ্য গোপন করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

`সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন, ২০১৬` নামে এই খসড়া আইনে সংক্রামক রোগের তথ্য গোপনকারীর জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার এক বৈঠকে মন্ত্রিসভা আইনটিকে অনুমোদন করে। .

প্রস্তাবিত আইনের প্রধান দিক:
সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, অস্থায়ী হাসপাতাল, স্থাপনা বা গৃহে অন্তরীণ বা আলাদা রাখা যাবে।

সংক্রামক রোগ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ যেকোনো প্রতিষ্ঠান, বাজার, গণজমায়েত, স্টেশন ও বন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে।

উড়োজাহাজ, জাহাজ, জলযান, বাস, ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন দেশে আগমন, নির্গমন অথবা দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে।

এ ধরনের রোগীকে সরকার স্বীকৃত চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণাগারে পরীক্ষা করাতে পারবে না।

ঢাকায় সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আইনের খসড়ায় সংক্রামক রোগের তথ্য গোপনকারীকে দু’লাখ টাকা জরিমানা কিংবা এক বছরের কারাদণ্ডের বিধানের কথা বলা হয়েছে।

আইন অমান্যকারী বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দু’লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান জানান, সংক্রামক রোগ মহামারীর আকার ধারণ করার আগেই জাতীয় পর্যায়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আগে কোন আইনি কাঠামো ছিল না। এই আইনটি সেই প্রয়োজনীয়তা দূর করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। (বিবিসি)

: আপডেট ৯:২৪ পিএম, ০৯ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share