চাঁদপুরে স্বেচ্ছাসেবীদের সতর্কতামূলক মাইকিং আর পুলিশের বাধায়ও সাধারণ মানুষ মানছেন না লকডাউন। ফলে অন্যদিনের মতো হুড়মুড় করে শহরের প্রবেশ করছে নানা বয়সী মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ছোটোখাটো যানবাহন। শহরের কিছু ব্যবসায়ী এই আংশিক লকডাউন মানবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) লকডাউনের প্রথমদিন এমন চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার-পুরানবাজার সেতু, পালবাজার, শপথ চত্বরসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায়। মানুষজনকে হুমড়ি খেয়ে শহরমুখি হতে দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোর থেকে কিউআরসি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং পুলিশকে জনসমুদ্র ঠেকাতে নানা তৎপরতায় ব্যস্ত দেখা গেলেও সকাল এগারোটা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে মাঠে দেখা যায়নি।
তবে জেলা প্রশাসনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করবে।
এদিকে, জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ জানান, কার্যকর লকডাউন করতে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই চাঁদপুরকে করোনামুক্ত এবং সংক্রমণ বিস্তার না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাঠে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, লকডাউনে শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সড়ক ও নৌপথে যাত্রীবাহী যানবাহনও বন্ধ রয়েছে। তবে একদল ব্যবসায়ী লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করছে। তারা বলছেন, সব কিছু খোলা রেখে শুধু মার্কেট-দোকান বন্ধ রাখার এই লকডাউন তারা মানেন না। তাদের দাবি, অচিরেই সবকিছু বন্ধ করতে হবে, নতুবা মার্কেট দোকান খুলে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার উচ্চ ঝুঁকির্পূণ ত্রিশটি জেলার মধ্যে চাঁদপুর অন্যতম। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৪জনসহ সবমিলিয়ে একবছরে তিনহাজার তিন শত ২৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৯৩ জন। এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ লকডাউন কার্যকর করতে জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। একই সঙ্গে চাঁদপুর শহরসহ জেলার সর্বত্র মাইকিং করে তা প্রচার করার ব্যবস্থা নেন।
বার্তাকক্ষ, ০৫ এপ্রিল, ২০২১;