Tuesday, February 10, 2015 10:30:04 PM
Updated : Tuesday, February 10, 2015 11:13:04 PM
এম এ আকিব :
চাঁদপুর জনবহুল জেলা শহর হওয়ায় এখানে সময়ের প্রয়োজনে দেখা দেয় নতুন একটি কারাগার স্থাপনের। সে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১০ সালে চাঁদপুর জেলা কারাগার স্থানান্তর করা হয় শহরের বাবুরহাট এলাকায়। গড়ে তোলা হয় নতুন কারাগার। নতুন এ কারাগারটি নির্মাণকালীন সময়ে গণপূর্তবিভাগের হিসাবমতে ধারণক্ষমতা পিপি অনুযায়ী ১৯০জন পুরুষ ও ১০জন মহিলাসহ মোট ২০০জন।
চাঁদপুর জেলা কারা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বর্তমানে এ কারাগারে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েদি ও হাজতী মিলে বসবাসের মোট সংখ্যা ছিলো ৫৪৩জন। তাই এ পরিমাণ আসামিদের জন্যে ৪ ভাগের একভাগ জনবল দিয়েই চলছে বর্তমানে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও দু’টি ভবন ব্যবহার না হওয়ায়, কারাগারটির ধারণক্ষমতা জটিলতা নিয়েও ভুগছে কর্তৃপক্ষ। প্রকৃত ধারণক্ষমতা পুননির্ধারণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট চলছে চিঠি চালাচালি।
এদিকে জেলা কারাগারের প্রকৃত ধারণ ক্ষমতা কত, এনিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। যার ফলে গত বেশ ক’দিন যাবত এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা যায়।
বিশেষ করে গত একমাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সৃষ্ট নতুন ৪৩টি মামলা ছাড়াও রয়েছে নিয়মিত অন্যান্য মামলা। এসব মামলায় গণহারে গ্রেফতার করা নিয়েই মূলত সাধারণের আলোচনা রয়েছে যে, চাঁদপুর জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ঊর্ধ্বে কয়েদি রাখা হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে, চাঁদপুর জেলা কারাগারে বন্দি বসবাসের জন্যে ৪তলা ২টি, ২তলা ১টি ভবন সেল, মহিলা ওয়ার্ডের ১টি ২তলা ভবন ও একটি হাসপাতাল ভবন রয়েছে। যার মধ্যে ১টি ৪তলা ও ১টি ২তলা ভবন বর্তমান সময় পর্যন্ত ব্যাবহার করা হচ্ছে না। যার ফলেই মূলত ধারণক্ষমতা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে যে পরিমাণ কয়েদি রয়েছে, জনবল সংকটের কারণে তাদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে কারাকর্তৃপক্ষ।
সূত্রটি আরো জানায়, বর্তমানে জেল সুপারসহ মোট ৫৫ জন জনবল রয়েছে এখানে। কিন্তু যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন তার ৪ ভাগের একভাগ জনবল দিয়েই চলছে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কারাগারের ধারণক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা হয় চাঁদপুরের জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর সাথে। তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অবকাঠামোগত ব্যবস্থা রয়েছে, তবে দু’টি ভবন ব্যবহার হচ্ছে না। এ ছাড়াও বন্দীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেখানে ২০০জন জনবল প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৫৫ জন জনবল দিয়েই চালিয়ে যেতে হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
চাঁদপুর টাইমসের সাথে একান্ত আলাপে তিনি আরো জানান, ‘কারা বিধির ১ম খন্ডে ১১৭৯ ধারা মোতাবেক জেল কোড অনুযায়ী প্রতিজন আসামীর জন্যে ৩৬ স্কয়ার ফিট জায়গা বরাদ্ধ রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ কারাগারে প্রায় সাড়ে ৫শতাধিক বন্দী ধারণক্ষমতা রয়েছে। তবে দু’টি ভবন ব্যবহার না হওয়ায় সাময়িক কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তাই চাঁদপুর জেলা কারাগারের ধারণক্ষমতা পুননির্ধারণের জন্যে ইতোমধ্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি গণপূর্তবিভাগে চিঠি দিয়েছি। বছরখানেক আগেও এ বিষয়ে একখানা চিঠি দেয়া হয়েছিলো। আশা করি বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ধারণক্ষমতা পুননির্ধারণ করে এবং পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিলে সাময়িক এ সমস্যা আর থাকবে না।’
চাঁদপুর টাইমস : এমএএ/এমআরআর/২০১৫