চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের যৌথ আয়োজনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চাঁদপুর শহরে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় নতুন বাজার শ্রী শ্রী গোপাল জিউর আখড়া মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সামছুন্নাহার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই মতবাক্যে বিশ্বাস রেখেই আমরা স্ব স্ব ধর্ম পালন করবো। আজকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথি উপলক্ষে উন্মাষ্টমীর যে সব কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে তার জন্য আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ মোঃ কামাল, মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ও গণ শিক্ষা উপ-পরিচালক সাকিরুন নেছা, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃনাল কান্তি সাহা, সাধারণ সম্পাদক বিবি দাস, সহ-সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র রায়, সদস্য সচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য রনজিত কুমার চাক্কি, র্যালীর আহ্বায়ক সুশিল সাহা, সদস্য সচিব প্রকাশ পাল, র্যালী উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রকাশ পাল, আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক বাসুদেব মজুমদার, সদস্য সচিব নির্মল পাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্যাম সুন্দর মন্ডল, মঞ্চ উপ-কমিটির আহ্বায়ক তপন সরকার, সদস্য সচিব জয়রাম রায়, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আহ্বায়ক পিযুষ রায় চৌধুরী, সদস্য সচিব মানিক পোদ্দার প্রমুখ। রাতে জন্মাষ্টমীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল। তিনি বলেন, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ পৃথিবীতে আবিভূত হয়েছিলেন মানুষদের রক্ষা করতে। তিনি বাসুদের অষ্টম সন্তান হিসেবে জন্ম নিয়ে অত্যাচারী রাজা কংশকে বধ করেছিলেন। তিনি এসেছিলেন অবতার হিসেবে। বৃন্দাবন লীলা, মধুরা লীলা, মহাযোদ্ধা লীলা করেছেন তিনি। তিনি জ্ঞান দিয়ে গেছেন আমাদেরকে তার এই লীলাজ্ঞান যদি আমরা অবলোকন করি তাহলে সমাজ থেকে সকল অন্যায় অবিচার দূর হয়ে যাবে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশ্রফুজ্জামান, জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রনজিত কুমার বনিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র রায়, সদস্য সচিব রাধা গোবিন্দ ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রনজিত রায় চোধুরী, পূজা পরিষদের সদস্য তমাল কুমার ঘোষ, জন্মাষ্টমী উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিবি দাস, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের সভাপতি সুশিল সাহা।
সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃনাল কান্তী সাহা। সবশেষে চাঁদপুর ড্রামার পরিচালনায় বৌ-মা নাটক মঞ্চস্থ হয়।