একই গার্মেন্টে কাজ করতেন দুজনে। সেখান থেকেই পরিচয়-প্রেম। তিন মাস প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। দাম্পত্য জীবনেও কেটে গেছে ছয় মাস। এরপর এক ফোন কলের সন্দেহে শেষ হয়ে যায় সংসার। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী ইউছুফ মিয়া (৩১)।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জাহেদা আক্তার ওই গ্রামের মান্নান মিয়া ওরফে মনা চৌকিদারের মেয়ে। অভিযুক্ত ইউছুফ মিয়া চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
শনিবার দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ জাহেদা আক্তারের ময়নাতদন্তের জন্য কমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, তিন মাস প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ে করে ৪/৫ মাস একই গার্মেন্টে স্বামী-স্ত্রী চাকরি করার পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের জানাজানি হয়।
এর পর স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেন ইউছুফ। শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। রাতে তার মোবাইল দিয়ে তার ভগ্নিপতির সঙ্গে কথা বলেন স্ত্রী জাহেদা। এ নিয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করেন ইউছুফ মিয়া। এ ঘটনায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে খুন করে দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শনিবার সকালে দরজার তালা খুলে খাটের ওপর জাহেদার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের বাবা মান্নান মিয়া ওরফে মনা বলেন, ‘১০-১৫ দিন আগে মেয়েকে আমার বাড়িতে রেখে যায় ইউসুফ। রাতে সে-ও বেড়াতে আসে। এ সময় তার ভগ্নিপতির সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় জাহেদার। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে আমরা বুঝিয়ে দেই। পরে রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে দাউদকান্দি কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’