Home / চাঁদপুর / শৈত্য প্রবাহে চাঁদপুরে তীব্র গ্যাস বিড়ম্বনা : ভোগান্তিতে গৃহিনীরা
Bakhrabad gas office chandpur

শৈত্য প্রবাহে চাঁদপুরে তীব্র গ্যাস বিড়ম্বনা : ভোগান্তিতে গৃহিনীরা

চাঁদপুর বাখরাবাদ গ্যাসের বেলকিবাজিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শহরবাসি। প্রায় দেড় দুই মাস ধরে এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাখরাবাদ গ্যাস বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহ¯্রাধিক গ্রাহক।

ভোরবেলা গ্যাস চলে গেলে তা ফিরে আসে দুপুরে। যার জন্য পরিবারের দৈনন্দিনের নাস্তাসহ অন্যান্য রান্না নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে গৃহিনীদের।

জানাযায়, চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস হতে শুরু করে চেয়ারম্যান ঘাটা, বিটি রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, মাদ্রাসা রোড, নাজির পাড়া, মিশন রোড, ট্রাকরোড বটতলাসহ শহরের অধিকাংশ এলাকায় প্রায় দেড় মাস ধরে ঠিকমতো গ্যাস ব্যবহার করতে পারছেন না গ্রাহকরা।

এসব এলাকার অনেক বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রায় দেড় থেকে দুই মাস ধরে প্রতিদিন ভোর ৬/৭ টার দিকে গ্যাস চলে গেলে তা ফিরে আসে দুপুর কিংবা বেলা সাড়ে ১১টা ১২ টার সময়। এতে গৃহিনীরা সকালের নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে গ্যাসের অপেক্ষায় থেকে কঠিন দুর্ভোগে পড়তে হয়।

প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন বাসা বাড়ির গৃহিনীরা নাস্তা তৈরি করতে গেলে হঠাৎ গ্যাস চলে যায় বলে তারা জানান। যে পরিমান গ্যাসের পেশার থাকে তা দিয়ে ঠিকমতো চুলায় আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা সম্বব না। তাই প্রতিদিন তাদেরকে বাধ্য হয়েই বাহিরে থেকে খাবার এনে সকালের নাস্তা সারতে হয়। সকালের নাস্তা বাহিরে থেকে ক্রয় করে এনে সারলেও দুপুরের খাবার রান্না করার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয় গৃহিনীদের।

দুপুর অথবা বেলা ১১টা, ১২ টায় পরিপূর্ণ গ্যাস আসলেও পুরোপুরি গ্যাসের চাপ থাকে না। অনেক সময় গ্যাসের পরিপূর্ণ চাপ থাকলেও রান্না করার সময় হঠাৎ হঠাৎ গ্যাস চলে যায়। আর এভাবে গ্যাস চলে যাওয়ার কারনে দেখা যায়, অনেক সময় অনেক গ্রাহকের ভাত রান্না হলে তরকারি রান্না হয় না, আবার তরকারি রান্না হলে কারো কারো ভাত রান্না হয় না। এজন্য প্রতিদিনের রান্না নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় গৃহিনীদের। প্রায় দেড় থেকে দুই আড়াই মাস ধরে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।

চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মানিক মিজি, জুলাস মিজি, কাউসার বেপারী, হান্নান খলিফাসহ কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, প্রায় ৮/৯ মাস পূর্বে দর্জিঘাট এলাকা থেকে মিশন রোড পর্যন্ত গ্যাসের এমন সমস্যা ছিলো।

তখন স্থানীয় লোকজন গ্যাস অফিসে গিয়ে কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে তা মেরামত করেছেন। তখন ওই এলাকায় গ্যাসের কাজ করতে আসা অফিসের লোকজন জানিয়েছেন অন্তত সেখানে আর কখনো গ্যাসের এমন সমস্যা হবে না। অথচ তারা এমন প্রতিশ্রæতি দেয়ার ৮/৯ মাস না ফেরুতেই গ্যাসের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার লোকজনসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা প্রতিমাসে তো গ্যাস বিল ঠিকই পরিশোধ করেন। কিন্তু কয়েকমাস ধরে ভালোভাবে গ্যাস ব্যবহার করতে পারছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় গ্যাসের এমন দুর্ভোগ থেকে পরিতান পেতে চায় বাখরাবাদ গ্যাসের গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড চাঁদপুরের বিতরণ কার্যালয়ের ম্যানেজার মহিবুর রহমান রতন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘শীতকালে গ্যাসের ঘনত্ব বেড়ে যায়। এ কারণে শীত আসলে গ্যাসের এ সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়।’

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৩ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার
ডিএইচ