চাঁদপুর

চাঁদপুরে বেড়ে চলেছে শৈত্যপ্রবাহ: শীত নিবারণে হিমশিমে হত-দরিদ্ররা

নদীবিধৌত চাঁদপুরে বইছে শীতের হাওয়া। গত ১ সপ্তহ ধরে অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। একই সাথে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে, আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের রূপও। তবে অঞ্চলের মানুষ আগমনী বার্তায় শীত নিবারণের প্রস্তুতি নিলেও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে হত-দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।

হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এই শীত গরম কাপড় ও কাঁথা মোড়াতে বাধ্য করেছে সবাইকে। দিনের কিছু সময় রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শেষ সকাল পর্যন্ত তীব্রভাবে শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। শহরে-গ্রামে কর্মজীবী মানুষদের ভারী কাপড় গায়ে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে।

চাঁদপুরের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর শনিবার চাঁদপুরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিলো ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে এ অবস্থা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. ফরিদ হোসেন।

তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সামনে শৈত্যপ্রবাহ রয়েছে। তাই তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরে হঠাৎ ঝেঁকে বসায় শীত নিবারণের জন্যে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে মানুষের। শহরের মার্কেটগুলোতে শীত পোশাক বিক্রি কিছুটা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় বেড়েছে শহরের পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে।

চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাট এলাকায় ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে গত দুই দিনে। শীত তাড়াতে ফুটপাতের এসব পুরাতন দোকানগুলোতে ভিড় করছে নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরীব লোকেরা। সেখান থেকে বেছে বেছে তারা স্বল্পমূল্যের সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোট, প্যান্ট, কানটুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র কিনছেন।

চৌধুরী ঘাটের ব্যবসায়ী মো. আলী সিকদার জানান, মূলত পৌষের এক মাস তাঁদের বেচা-বিক্রি হয়। বাকি বছর তারা ফলের ব্যবসা করেন। তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম জেলার ইয়াজউদ্দিন মার্কেট, খাতুনগঞ্জ ও কোরানি গঞ্জ থেকে এই পোশাকগুলো লট হিসেবে কিনে কম দামে বিক্রি করেন তারা। সস্তায় হলেও এর মান খুবই ভালো। নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাই মূলত এসব পোশাক কিনেন বলে ক্রেতারা জানান।

চৌধুরী মসজিদের সামনের ভ্রাম্যমান দোকানি বাবুল মিজি, সেলিম খান বলেন, গত দুই দিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় বেঁচাবিক্রি বড়েছে কিছুটা। তবে এখনো পুরোপুরিভাবে জমেনি বাজার। তারা আরো জানান, প্রতিটি পুরোনা পোশাক তারা ২০ টাকা থেকে ২শ’ টাকায় বিক্রি করেন। এছাড়াও পুরোনো কম্বল বিক্রি করেন ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,১২ ডিসেম্বর ২০২০

Share