কচুয়ায় শীতকালীন সবজি আলু চাষে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। গত বছরে দাম ভালো পাওয়ায় এবছর কৃষকরাও ঝুঁকেছেন আলু চাষে। এবছর কচুয়ায় ২ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার সাচার, বায়েক, বাতাপুকুরিয়া, পালাখাল, দোয়াটি, বাঁচাইয়া, তেগুরিয়া, মাঝিগাছাসহ বিভিন্ন এলাকায় পতিত ও আবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল ও বাঁচাইয়া গ্রামে কৃষকরা আগাম আলু চাষ করছেন। জমি তৈরি, আলু বীজ রোপণ, সার প্রয়োগে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আলু চাষে সময় কম ও লাভ বেশি বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
আলু চাষি বলেন, চলতি বছর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। পরিচর্যার ঘাটতি না থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে। কিন্তু এবছর আলুর বীজ, সার, কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে খরচ একটু বেশি পড়বে। তবে আবহাওয়া ও বাজার মূল্য যদি ভালো থাকে তবে লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ২ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। আবহাওয়া অনুকূল ও বাজারদার ভালো থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি আলু রোপনে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪