দু’দিন বাদেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচাইতে বড় উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। দুর্গোৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো কুমিল্লায়ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।
কুমিল্লায় সারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কয়েক স্তরে পুলিশী টহলসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হবে। সেই সাথে থাকছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ।
এই উৎসবের মূল আকর্ষণ দূর্গা প্রতিমা। এদিকে এখনো শেষ সম্পন্ন হয়নি অনেক পূজা মণ্ডপের প্রতিমা তৈরীর কাজ। কারিগর ও শ্রমিক সংকটে কারনেই এই বিলম্ব বলে জানান তারা। কারিগররা বলছেন বিভিন্ন কাচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরী করে লাভ হচ্ছেনা, এমনকি লোকসানও গুনতে হচ্ছে। এতেকরে এ কাজে কারিগর ও শ্রমিক সংকটে এবার প্রতিমা তৈরীতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই শেষ মুহুর্তে এসে প্রতিমা তৈরীতে রাতদিন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শিল্পীরা।
কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাশ টিটু এবং কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু নির্মল পালসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান গতবছর এ জেলায় পূজা শণ্ডপ ছিলো ৭৯৪ টি, এবার তা বেড়ে দঁাড়িয়েছে ৮১৫ টি’তে। তারা বলেছেন ২০২১ সালের দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লায় পুজা মণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিলো।
অতীতের ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা ভুলে এবছর তারা নির্বিঘ্নে সার্বজনীন দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, কুমিল্লায় অতীতের দূর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে নেয়া হচ্ছে বারতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কয়েক স্তরে পুলিশী টহলসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি থাকছে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ।
২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর দুর্গা পূজার সময় কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘীর পাড় পুজা মণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাই এবছর সার্বজনীন দুর্গোৎসব যাতেকরে নির্বিঘ্নে সঙ্কা মুক্ত ও সুন্দর ভাবে উদ্যাপন করতে পারেন প্রশাসনের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১৭ অক্টোবর ২০২৩