চাঁদপুর ম্যৎস্য আড়তে হঠাৎ করে গত ৩দিন ধরে প্রচুর ইলিশ আমদানী হয়েছে। তবে শনিবার চাঁদপুরের ৫০টি আড়তের মধ্যে ২০টি আড়তে প্রায় ১২হাজার মন ইলিশ আমদানী হয়েছে বলে ইলিশ আড়তদাররা জানান।
যা এ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ ইলিশ ক্রয় করতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ মৎস্য আড়তে এসে ভিড় করেছে। মানুষ আর মাছে একাকার চাঁদপুর মাছ ঘাট।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশ ক্রয় বিক্রয়ে ছিল হাহাকার। ইলিশের মূল্য ছিল অনেক চড়া। বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরফ সংকটের কারনে ইলিশ ছিল পানির দাম। বড় সাইজের ইলিশ ছিল ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা মন। মধ্যম সাইজের ইলিশ ছিল ১৮ থেকে ১৯ হাজার টাকা মন। ৫শ গ্রাম হতে ৬শ গ্রাম ইলিশের মন ছিল ১২হাজার টাকা মন। যা অন্য দিনের তুলনায় এবং শনিবার সকালের তুলনায় কম বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
মৎস্য ব্যাবসায়ীরা জানান, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ২২দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে, তাই জেলারা দিন রাত ইলিশ আহরন করে গত ৭দিন ধরে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার মন ইলিশ সমুদ্র ও নদী থেকে আমদানি করেছে।
শুক্রবার ও শনিবার প্রায় ২০ হাজার মন ইলিশ চাঁদপুর মাছ ঘাটে আমদানী হয়েছে। এ ইলিশ চাঁদপুর জেলা ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন জেলায় প্যাকেট জাত করে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া ভারতে ইলিশ রপ্তানীর এলসি বন্ধ থাকার পরও এক শ্রেনীর অসাধু কিছু ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন জেলার নাম করে এ সব ইলিশ ভারতে পাচার করে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
চট্রগ্রামের হাতিয়া ও দেশের দক্ষীন আঞ্চলে ইলিশ প্রচুর ধরা পড়লেও ইলিশ সেখান থেকে বিভিন্ন জেলায় না পাঠিয়ে চাঁদপুর পাঠিয়ে চাঁদপুরের ইলিশ বলে এ সব ইলিশ চাঁদপুর থেকে প্যাকেট জাত করে বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে করে ক্রেতা পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ মনে করে ইলিশ ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল সাগরের ভাটি অঞ্চল ও চট্টগ্রামের হাতিয়া থেকে এ ইলিশ আমদানী করে আনছে শত-শত জেলে ও ব্যাবসায়ীরা। তারা দীর্ঘ দিন পরে ভর মৌসুমে ইলিশ আমদানী করতে পেরে তারা খুবই খুশি। বর্তমানে ইলিশের যে দাম তা ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির লি: এর সভাপতি আবদুল খালেক মাল জানান, এ বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে প্রচুর ইলিশ আমদানী হয়েছে। গত বছরও এ সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পরেছে। এ বছর সে তুলনায় কম ধরা পরছে।
চাঁদপুর মৎস্য আড়তের মানিক ট্রেডার্সের ব্যবসায়ী বাবুল হাজী জানান, গত ৬/৭ দিন যাবত ইলিশের আমদানি বেশি হচ্ছে। এ পূর্বে আমদানী কম ছিল। এখন প্রতি দিন ৭ থেকে ৮ হাজার মন ইলিশ আমদানি হচ্ছে। দাম ক্রেতার ক্রয় ক্ষয়তার মধ্যে। এখন সম্পূর্ন ভরা মৌসুম। গত বছর ইলিশের আমদানি বেশি ছিল, এ সব ইলিশ চাঁদপুর ছাড়াও সিলেট মৌলুবী বাজার, ময়মনসিংহ,আবদুল্লাহপুর, ঢাকা কারন বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ৫৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur