গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ আটে আর্জেন্টিনা

চলমান কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা এবং বলিভিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি শেষ হলো ৪-১ ব্যবধানে। ম্যাচের এই সমীকরণটি অনুমিতই ছিল।

কারণ ফিফা র্যাংকিং এ ৮১ তম স্থানে অবস্থান করা বলিভিয়ার বিপক্ষে সহজেই জয় পাওয়ার কথা র্যাংকিয়ের ৮ তম স্থানে অবস্থান করা মেসি-সুয়ারেজের অভিজ্ঞ আর্জেন্টিনার।

হলোও তাই, ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে এলএমটেন বাহিনী।

ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড আলেজান্দ্রো গোমেজ।ম্যাচের বয়স তখন ৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ড। বলিভিয়ার রক্ষন ভাগের খেলোয়াড়দের বোকা বানিয়ে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত বাড়ানো বল থেকে স্কোর করেন গোমেজ।

এক গোল করেই দমে যায়নি আলভিসেলেস্তেরা। বলিভিয়া রক্ষনভগের উপর মুহুুর্মুহু আক্রমণ চালাতে থাকে। ৩৩ তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ৩১ তম মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আন্দ্রে গোমেজকে ডি বক্সের মধ্যেই ফাউল করে বসে বলিভিয়া।

ফলস্বরুপে, পেনাল্টি শুটআউট পায় আর্জেন্টিনা।মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে দলকে দ্বিতীয় গোলে এগিয়ে দেন মেসি।

৪২ তম মিনিটে বলিভিয়া রক্ষণের তিন খেলোয়াড় আর গোল কিপারকে বোকা বানিয়ে আবারও দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ৩-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ হয়।

মাঝেসাঝে খানিকটা আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ শাণাতে থাকে বলিভিয়াও। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না।অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ তম মিনিটে বলিভিয়া ফরোয়ার্ড সাভেডরা আর্জেন্টিনা গোল রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দলকে এগিয়ে নেন।

ম্যাচের ৬৫ তম মিনিটে দলকে আরো একবার এগিয়ে নেন মার্টিনেজ। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা হয়তে আরো বড় ব্যাবধানে জিততে পারতো। কিন্তুু ফিনিশিংয়ের অভাবে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার।

তাই ৪-১ ব্যাবধানের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আর্জেন্টিনাকে।

পুরো ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলবারে মোট ১৮ বার শট নেয় আর্জেন্টিনা।বিপরীতে বলিভিয়া নেয় মাত্র ৫ টি শট।

আর্জেন্টিনার অন টার্গেট শট ছিল মোট ১৩ টি, বলিভিয়ার মাত্র ২ টি।

বল দখলেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে ৬৮ শতাংশ বল দখলে রাখে আর্জেন্টিনা, অন্যদিকে ৩২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হয় বলিভিয়া।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা নিজেদের মধ্যে মোট পাস বিনিময় করে ৮২৩ বার, বলিভিয়ার পাসিং ছিল ৩৮৫ টি। বল পাসিং একুরেসির ক্ষেত্রে বলিভিয়ার একুরেসি ছিল ৮৪ শতাংশ, অন্যদিকে আর্জেন্টিনা মোট ৯২ শতাংশ পাসিং একুরেসি রাখতে সমর্থ হয়।

প্রতিবেদকঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, জুন ২৯,২০২১

Share