চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৮:৩৭ অপরাহ্ণ, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
শেষবারের মতো বক্তব্য দিয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। সংসদ অধিবেশনে নিজের বক্তব্য শেষেই স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
নিজেকে মুসলমান, বাঙালি ও আওয়ামী লীগার বলে দাবি করে বক্তব্য শুরু করে লতিফ সিদ্দিকী সবশেষে বলেন, আমার কোন আচরণে দেশবাসী দু:খ পেয়ে থাকলে দেশবাসীর কাছে নতমস্তকে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার আসন থেকে পদত্যাগ করছি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন :
৭৫ কার্যদিবস পর সপ্তম অধিবেশনের প্রথম দিনে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বক্তৃতা করলেন বিতর্কের মুখে থাকা লতিফ সিদ্দিকী।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে অধিবেশনে বক্তব্য দানের সুযোগ চান লতিফ সিদ্দিকী। আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি আওয়ামী লীগার- এ কথা বলে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা শুরু করেন তিনি।
তবে অধিবেশন কক্ষে নেই সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যা সাতটা ৭ মিনিটে সংসদ অধিবেশনকক্ষে এসে ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারির ১৪ নম্বর আসনে বসেন। এ আসনটি মন্ত্রী থাকার সময় থেকেই তার জন্য নির্ধারিত।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট নিজের সংসদ সদস্য পদ থাকা না থাকার বিতর্কের শুনানিতে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছিলেন পবিত্র হজ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব হারানো আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওই শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করবো। এটি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, শুনানির কিছু নেই।
তবে সেদিন শুনানি থেকে বের হয়েই পদত্যাগ করবেন এবং সেটি মাত্র পাঁচ মিনিটের বিষয় বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী। তার এ বক্তব্য শুনে ৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করেছে ইসি।
ধারণা করা হচ্ছে, পরে সংসদ ও জাতির কাছে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তারপর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ কারণেই সংসদে যোগ দিয়ে শেষবারের মতো বক্তব্য দিলেন তিনি।
নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার পর প্রথমেই মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বাদ দেয় সরকার। এরপর আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আরও পরে তার প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করে দলটি। আর সবশেষ তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দু’পক্ষকে নিয়ে শুনানির আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এতে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়। সে মোতাবেক বিরোধটি নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া হাতে নেয় ইসি।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫