চাঁদপুরের বর্ষীয়ান শিক্ষক নেতা, জাতীয় শিক্ষক কর্মচারী ফ্রন্ট এর জেলার আহবায়ক ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি চাঁদপুরের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষবিদ অধ্যক্ষ একেএম শাফায়াৎ আহমাদ ভূঁইয়া শেরে-ই-বাংলা স্মৃতিপদক সম্মামনা ২০১৬ পেয়েছেন।
শেরে-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন, ঢাকা আয়োজিত ২৬ মে জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স রুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে এ সম্মামনা পদক তাকে প্রদান করা হয়।
দেশের ৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ১২ জন বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিত্ব যাঁরা নিজ নিজ জেলা বা কর্মস্থলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ও অন্যান্য পেশায় অবদান রেখেছেন তাঁদের অতীত কর্মকান্ডের বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি হিসাবে শেরে-ই-বাংলা ফাউন্ডেশন,ঢাকা যে সম্মামনা পদক প্রদান করেছেন চাঁদপুরের এ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ একেএম শাফায়াৎ আহমাদ ভূঁইয়া তাঁদেরই একজন। যিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ হিসাবে সম্মামনা পদক পেলেন। শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা রক্ষা ও দাবি আদায়ে প্রতিটি শিক্ষক আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন।
চাঁদপুরের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীগণ ‘বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ’ হিসেবে অধ্যক্ষ শাফায়াৎ আহমাদ ভূঁইয়াকে সম্মামনা পদক ও সনদ প্রদান করায় ঢাকাস্থ শেরে -ই-বাংলা ফাউন্ডেশন-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অধ্যক্ষ একেএম সাফায়াৎ আহমাদ ভূঁইয়া ১৯৫২ সালের ৫ জুলাই লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের চররুহিতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর বাবা মরহুম আফাজ উদ্দিন ছিলেন একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা ছিলেন গৃহিণী।
তিনি ১৯৬২সালে প্রাথমিক, ১৯৬৭ সালে ফেনী মডেল একাডেমি থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ১৯৬৯ সালে চৌমুহনী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭২ সালে বিএসসি পাশ করেন । ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি ও ১৯৯০ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় হতেই এলএলবি পাশ করেন ।
১৯৭৭ সালে সর্বপ্রথম নোয়াখালীর বসুরহাট শেখ মুজিব কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের একজন প্রভাষক হিসাবে শিক্ষকতার মত মহান পেশায় প্রবেশ করেন। এ সময়েই তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতিতে যোগদেন এবং বেসরকারি শিক্ষক সমাজের কল্যাণে নিজকে সম্পৃক্ত করেন।
তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮১ সালে ইউথিপিয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে ওই দেশে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান। সেখান থেকে ফিরে এসে ১৯৮৩ সালে চাঁদপুরের আল- আমিন একাডেমিতে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন।
পাশাপাশি চাঁদপুরে সর্বপ্রথম রেলওয়ে কিন্ডার গার্টেন নামে একটি শিশু বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি চাঁদপুরের প্রথম কিন্ডারগার্টের হিসেবে স্বীকৃত।
বর্তমানে তার শুরু কারিকুলামে চাঁদপুর জেলায় কিন্ডার গার্টেন এর সংখ্যা প্রায় ৭ শতাধিক। শিশুদের শিক্ষার প্রতি তার বিশেষ আন্তরিকতার জন্যে মালেক স্মৃতি, সানরাইজ মডেল একাডেমি নামে বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
অত:পর তিনি চাঁদপুর সদরের শাহাতলী জিলানী চিশতী কলেজে ও ১৯৯৮ সালে ফরিদগঞ্জ চির্কা চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন । ফলে শিক্ষক , শিক্ষা,শিক্ষার উন্নয়নে ও শিক্ষক সংগঠনের সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে নিজকে সম্পৃক্ত করে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।
এ ভাবেই সুদীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত শিশু শিক্ষা ও শিশু শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা, শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষকদের স্বার্থ বিষয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানেও তিনি শিক্ষা গবেষণা নামক একটি প্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা নিয়ে নিরব ও নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:৩০ পিএম, ২৯ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ