প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে মঙ্গলবার বিকেলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসছিলেন। সেদিন দেশে আবার গণতন্ত্র পুনউদ্ধার হয়েছিল। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িকতার রোল মডেল। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছি। ওনার মেধা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করনাকালে আপনারা দেখেছেন দেশের মানুষ বিনামূল্যে টিকা পেয়েছে। যারা বাংলাদেশকে কার্যকর রাষেট্র পরিচালিত করতে চেয়েছিল তারার আজ ব্যার্থ হয়েছে। ওনার নেতৃত্কে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ। সকল অশু শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে আজকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে জননেত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।১৯৭৫ সাল ও ২০২৩ সালরএক নয়। আমরা সবাই এ চাঁদপুরের মাটির সন্তান তাই কাউকে এ মাটিতে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না। আজকে অবৈধভাবে নদীতে বালু কাটার কারনে পদ্মা মেঘনায় যত্রতত্র ভাঙন হচ্ছে। পদ্মা মেঘনায় যারা বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এর বিরুদ্ধে কথা বলা বন্ধ হবে না। প্রশাসনকে বলতে চাই চাঁদপুরের জনগণ আপনাদের সাথে আছে তাই আপনারা এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করুন।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল।
জাতীয় শ্রমিক লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধরণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইমলাম মিয়াজী, সদস্য অ্যাডভোকেট বদিউজ্জিামান কিরন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক নেতা মঞ্জু মাঝি, সাবেক সাংগঠনিক সাব্বির হোসেন মন্টু, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবাশিষ কর মধু,সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শফিক গাজী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা জুয়েল পাটওয়ারী।
জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজ গাজী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দলিলুর রহমান ভূইয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম, রিক্সা শ্রমিক লীগ আবদুল আলী, আনু মোল্লা, রুহুল আমিন, দেলু গাজী সহ সকল শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনের পর মাত্র চার বছরের মাথয়ি স্বাধীনতার পরাজিত গোণ্ঠী এদেশের দোসরদের সাথে নিয়ে জাতির জনককে স্বপরিবারেনহত্য করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময়ে তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে যায়। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ফিরে আসেন। নেত্রী দেশে আসার পর ১৮ বার নেত্রীকে হতৗ্র চেষ্টা হয়েছে। পাকিস্তানী দোসররা এখনো শেখ হাসনিা হত্যার জন্য ওৎ পেতে আছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগকে একত্রিত হতে হবে তা না হলে সকল অর্জন দূলিসাৎ হয়েছে।
বক্তরো আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিান নিজে নাছির উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি দুলাল পাটয়োয়ারীকে সাধারণ সম্পাদ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একত্রিত হন। আমরা জননেত্রীর তৃনমূলের কর্মী হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন নির্বাচন হবে তাই আমাদের সকল দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে আমাদের একত্রিত হতে হবে। আগামী নির্বাচনে দল যাকে নৌকা প্রতীক দিবে তার পক্ষে সকলে কাজ করবেন। জেলার পাঁচটি আসন আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ৩০ মে ২০২৩