‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে বাংলার মাটিতে তাদের ঠাঁই হবে না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যারা হত্যার হুমকি দেয় তারাই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, শেখ হাসিনাকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করলে বাংলার মাটিতে তাদের ঠাঁই হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ও স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ,অঙ্গ, ও সহযোগি সংগঠনের প্রতিটি নেতা কর্মী কোনো আপস করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজকে যখন বাংলাদেশের মানুষ সুখের স্বপ্ন দেখছে, মানুষ সুখে আছে, শান্তিতে আছে, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শ্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ উন্নয়নশীল দেশ। আর এই উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে সেই সময় আবারও সেই পরাজিত শক্তি, রাজনীতির অপশক্তি বিএনপির নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। হত্যার হুমকি প্রদান করছে।
রোববার (২৮ মে) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর আলী ভিলা মিলনায়তনে আওয়ামীলীগ ,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আওয়ামী লীগ,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের প্রস্তুতিকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের মন থেকে শেখ হাসিনাকে মুছে ফেলার ক্ষমতা কারো নেই। শেখ হাসিনা আমাদের অস্তিত্ব। আর এই অস্তিত্বের প্রশ্নে আওয়ামীলীগ,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা আপোসহীন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই প্রেসিডিয়াম সদস্য মায়া চৌধুরী বলেন, আমাদের চলার পথে আরও ষড়যন্ত্র আছে, এই ষড়যন্ত্র চলছে। বাঙালির ইতিহাসে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে । রাজনীতির অপশক্তি বিএনপির নেতৃত্বে তারা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা জানে, আসন্ন নির্বাচনে জিততে পারবে না। শেখ হাসিনার সঙ্গে জিততে পারবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েই শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে রাজশাহী জেলা বিএনপির বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের এমন বক্তব্যে প্রদান।
মায়া চৌধুরী আরও বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি বিএনপি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী এ দলটিকে প্রতিহত করা হবে। একইসঙ্গে উন্নয়ন সমৃদ্ধির পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক অপশক্তি,জঙ্গিবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাব– এটিই আজকের দিনের অঙ্গীকার। এখন আমাদের অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করার।
ইনশাল্লাহ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
মায়া চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন শেখ হাসিনা। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়াতে আছি। আর বাধা দিচ্ছে বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিপরীত পথে হাঁটছে বিএনপি। তাই ভিসা নীতির কারণে তারাই চাপে রয়েছে। বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমাদের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিথ ছিলেন,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু,ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজ্বী মনির হোসেন বেপারী,সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাফিজ তফাদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাজী শরীফ হোসেন,উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির খান, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ সোবাহান সরকার শুভা,জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম গাজী, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান,মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, ছেংগারচর পৌর কৃষকলীগের সভাপতি আঃ কাদির প্রধান, ছেংগারচর পৌর আ’লীগ নেতা খোকন প্রধান, জাহাঙ্গীর ভুইয়া, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউল আলম তফাদার, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু,উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা রিপন চৌধুরী, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা মোঃ শামীম প্রধান, উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন,ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ হোসেন জনি সরকার, সহ-সভাপতি রতন সরদার,সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মঞ্জুর,সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন প্রধান,যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইউসুফ জামিল, জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ইদ্রিস আলী দেওয়ান,সাধারণ সম্পাদক বাদল ঢালী, শ্রমিকলীগ নেতা রেজাউল করীম ডেঙ্গু, রাজিব খান,বাবু প্রমানিক, হোসেন প্রমানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আলম,সদস্য জোবায়ের আহম্মেদ জনি, আরিফুল ইসলাম লিখনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মৎস্যজীবীলীগ,শ্রমিকলীগ,ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক: খান মোহাম্মদ কামাল, ২৯ মে ২০২৩

Share