নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে শেখ হাসিনাই একমাত্র দেশের উন্নয়নের দাবিদার। যার প্রমাণ বিশ্ব নেতারা ইতিমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যা দেখে বিএনপি-জামায়াতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে ৫৩ টি রুটে নদী খনন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর-ইচুলী-হাজীগঞ্জ নৌ-পথের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের উদ্ধোধনকালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,‘দেশে স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকার একমাত্র ড্রেজার ক্রয় করেছেন। নদী খনন একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার চালু করেছে। আগামি নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নদী খনন কাজ সম্পন্ন করতে আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু মাত্র ৭ মাসের ক্ষমতা থাকায় অবস্থায় দেশে ৮টি ফেরি ক্রয় করেন। তার পর জিয়ার শাসন আমলের ৫ বছরে ২টি,এরশাদের ৯ বছরে ৮টি ক্রয় করলেও বিএনপি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় একটি ফেরিও ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ ২০০৯ থেকে ১৩ পর্যন্ত ১৭ টি ফেরি সংগ্রহ করেছেন এবং বর্তমানে আরো ১২টির কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে।’
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন,‘বিএনপি জোট সরকারের রেখে যাওয়া ৩০ মে.টন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে ২১ লাখ মে.টন খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করছে বলে দাবি করেন। রাস্তা-ঘাট ব্রিজ কালভার্ট থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে উন্নয়ন তা বিএনপির চোখে পড়ছে না। খালেদা জিয়ার চোখে ছানি পড়েছে যে কারণে শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পারছে না।
সন্ত্রাস,জঙ্গি,যুদ্ধাপরাধীদের মদদাতা বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। খুনির দলের সাথে কোনো সংলাপ হতে পারে না। সংলাপের নামে দেশে আবারো অরাজকতা সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে খুনি দলের সাথে কোনো সংলাপে বসবে না। তাই আবারো জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসীর দল বিএনপি-জামায়াতকে এড়িয়ে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে উন্নয়নে শামীল হওয়ার আহবান জানাই।’
উক্ত জনসভায় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম.মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে ও হাজীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মো.মাঈনুদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনি এলাকার সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম,বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসপি মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদ, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল,পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার, নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আসম মাবাবুব-উল আলম লিপন,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মেদ খসরু,বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রোটা.আহসান হাবিব অরুণ,সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন,
জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন,যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক মাসুদ ইকবাল,সাবেক ছাত্রনেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মহন গাজী,শহর ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির হোসেন সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বিসহ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ এবং সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
প্রতিবেদক :জহিরুল ইসলাম জয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:২০ পিএম,৮ নভেম্বর্ ২০১৭,বুধবার
এজি