নদী তীরবর্তী চাঁদপুরে ক্রমেই শীত বাড়ছেই। পৌষের শুরু থেকেই তীব্র শীতে কাতর জেলাবাসী। ১৮ বুধবার থেকে পুরো জেলায় কুয়াশা আর হিম বাতাস বইছে।
তীব্র এ শীতে দুর্ভোগে চরাঞ্চল ও ফুটপাতের মানুষজন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের আভা জেলায় কোথায়ও লক্ষ্য করা যায়নি। ঠা-ার কামড় থেকে বাঁচতে গরম কাপড় পরে আগুনে হাত-পা সেঁক দিচ্ছে সব বয়সের মানুষ।
১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চাঁদপুর আবাহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, চাঁদপুরে ঠান্ডা ক্রমেই বাড়ছে। এ মাসের ২০ তারিখের পর এখানে শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহ এর সাথে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হবে কিনা তা শৈত্যপ্রবাহ বাড়ার সাথে সাথে বুঝা যাবে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদদৌলা রুবেল জানান, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এদিকে চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈকিত সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতাবস্ত্র কিনে শীত থেকে রক্ষার চেস্টা করছে।
এমন কথাই জানালেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার ফুটপাতের অসহায় মানুষ। প্রতিদিন চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, রাস্তার মোড়, রেলস্টেশন এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।
এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করলে সত্যিকারের শীতার্ত মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur