Home / চাঁদপুর / শীতে কষ্ট পাচ্ছে চাঁদপুরে অসহায়-দরিদ্র মানুষ : পাশে নেই কেউ
shit manush
চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এমনকি ফুটপাত এলাকার শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।

শীতে কষ্ট পাচ্ছে চাঁদপুরে অসহায়-দরিদ্র মানুষ : পাশে নেই কেউ

দিন গড়ার সাথে সাথে কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া বাড়ছে। চাঁদপুরে এবার মৌসুমের শুরুতেই হাঁড় কাঁপানো শীত না থাকলেও গত দু’দিন শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। ঠান্ডায় কাবু ফুটপাতের অসহায় মানুষ। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শীতের তীব্রতা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে শীতার্ত অসহায় মানুষের কষ্টও বাড়ছে।

বিশেষ করে তীব্র শীতে ফুটপাতে রাত কাটানো মানুষগুলো ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে। অনাথ পথশিশু ভিক্ষুক আর অসহায় বয়োবৃদ্ধরা শীতের কষ্ট নিবারনের জন্য হাত পেতে বসে আছে। যদি কেউ শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে আসেন।

চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈকিত সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতাবস্ত্র কিনে নিচ্ছেন। এমন কথাই বলেছেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার কয়েকজন ফুটপাতের অসহায় মানুষ। প্রতিদিন চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, রাস্তার মোড়, রেলস্টেশন এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।

এদিকে অনেকেই কলেজের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সদস্যরা শীতার্ত মানুষের জন্য ইভেন্ট করে টাকা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।

অনেকেই চাঁদা তুলে টাকা জমিয়ে শীতের জামা কিনবেন বলে জানাচ্ছেন। বাসটার্মিনাল, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতে কাবু হয়ে ছেড়া কাপড় গায়ে জড়িয়ে শুয়ে আছে অনাথ শিশু, মহিলা ও কর্মজীবী অসহায় মানুষ। তাদের প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা প্রচন্ড এই শীতে একটু গরম কাপড়। যে কেউ পাশে গিয়ে দাঁড়ালেই ওরা গরম কাপড় চেয়ে বসে।

স্বপ্নতরু সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, দিন দিন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আগ্রহীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তবে বিতরণ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু পরিচর্যার অভাবে প্রকৃত শীতার্তদের নিকট প্রয়োজনীয় বস্ত্র অনেক সময় পৌঁছে না। এ জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করলে সত্যিকারের শীতার্ত মানুষ উপকৃত হবেন।

এছাড়া এ কর্মসূচিগুলোকে শহরকেন্দ্রিক না করে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রকৃত অসহায় মানুষের সংখ্যা গ্রামেই বেশি। এ জন্য উদ্যোক্তাদেরকে প্রত্যন্ত এলাকাকে বেছে নিতে হবে। এই অসহায় মানুষদের হাসিতেই তো হাসবে সুন্দর এই প্রকৃতি।

প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ