চাঁদপুর

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন :চাঁদপুরের চরাঞ্চলে পৌঁছেনি শীতবস্ত্র

হাড়কাঁপানো কনকনে শীতের তীব্রতার সমগ্রদেশের ন্যায় কাঁপছে নদীবিদৌত চাঁদপুর জেলা। অব্যাহত শেত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় কারণে জেলাবাসীর স্বাভাবিক জনজীযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

এছাড়াও গত ৪দিনের অসহনীয় শীতের দাপটে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এসব রোগীর মধ্যে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।

তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। বিকেল ৫টার পর থেকে পরদিন ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের ফলে খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী চাঁদপুরের চরাঞ্চলের মানুষজন তীব্র শীত আর কর্মবিহীন অবস্থায় কষ্টকর জীবনযাপন করছেন।

শহরের আনাচে কানাচে পথশিশু আর কিছু অসহায় মানুষ গত ক’দিনে শীতবস্ত্র পেলেও চরাঞ্চলে এখনো পৌঁছেনি শীতবস্ত্র।

এ সময়ে মানুষজন গায়ে গরমকাপড় আর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে জবুথবু হয়ে রাস্তায় বেরুচ্ছে। তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।

এদিকে চাঁদপুর শহরের রেলস্টেশন, বাসটার্মিনালসহ ফুটপাতে রাত কাটানো ভবঘুরে মানুষগুলো জবুথবু হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের কেউ কেউ খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

শীতের ‘জাঁতাকলে’ পিষ্ট এসব অসহায় মানুষ এখন তাকিয়ে আছেন একটি গরম কাপড় অথবা কম্বলের দিকে। প্রতিদিন তারা আসায় বুক বেঁধে থাকছেন এই বুঝি কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা জনপ্রনিধি একটি গড়ম কাপড় এগিয়ে দিবেন।

শহরের কালিবাড়ি স্টেশনের ভবঘুরে বৃদ্ধা হাজেরা বানু জানায়, শীত এলে তাদে কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। গত বছর শিতে ২টা কম্বল পেলেও এবছর একটাও পাইনি। এদিকে শীতের এই তীব্রতা বেড়ে যায় বেকায়দায় পরেছে গ্রামাঞ্চলের কৃষী ও নদীতে কাজ করা মানুষগুলো। দিন এনে দিন খাওয়া গ্রামের এসব মানুষগুলো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলা আঞ্চলিক মহা-সড়কগুলোকে যান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুইদিনের উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের কারণে মেঘ কেটে গেছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে শৈত্যপ্রবাহ দ্রæত ছড়িয়ে পড়ায় হঠাৎ করে শীত বেড়ে গেছে।

এই অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৩৩ পিএম, ৬ জানুয়ারি ২০১৮, শনিবার
ডিএইচ

Share