শীতকাল মুমিনের জন্য রহমত স্বরূপ

আল্লাহ তাআলা বান্দার উপকারে দুনিয়ার সব উপকরণ সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র-সূর্য, আলো-বাতাস এমনকি রাত, দিন, কালের সৃষ্টিও বান্দার কল্যাণে করা হয়েছে। আমাদের দেশ ৬ ঋতুর দেশ বলা হলেও এদেশে প্রায় ৩ থেকে চার মাসব্যাপী শীতের আবহ থাকে। এ শীতকাল মুমিন বান্দার জন্য রহমত স্বরূপ।

আর ক`দিন পরেই শুরু হবে শীতকাল। ইতোমধ্যে শীতের আবহ শুরু হয়ে গেছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শীতকাল মুমিনের জন্য গণীমতস্বরূপ। শীতকালীন রাত্র লম্বা হয়। তাতে মুমিন ইবাদাত করে। আর দিবস ছোট হয় তাতে মুমিন রোজা রাখে।` শীতের রাতে ইবাদাত করা আর দিনে রোজা রাখা সহজ হয়।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, শীতকালীন রাত্র লম্বা হয়, ঘুমিয়ে ইহাকে ছোট কর না। এবং দিবস আলোকিত সুতরাং ইহাকে পাপ কার্যের দ্বারা অন্ধকার কর না।’ সুতরাং আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে যে দিবস ও ঋতু দিয়েছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা, সবর করা এবং নিআমাত মনে করে গণীমত হিসেবে গ্রহণ করাই উত্তম।

পরিশেষে…
যেহেতু মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, সেহেতু শীতকালের দীর্ঘ রাত্রিতে ইবাদাত এবং দিনের স্বল্প সময়ের রোজা আদায় করা প্রত্যেক ঈমানদার মুমিনের জন্য আল্লাহ রহমত বটে। আল্লাহ তাআলা আসন্ন শীতকালকে রহমত হিসেবে গ্রহণ করে ইবাদাত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

চাঁদপুর টাইমস ইসলাম ডেস্ক: ।। আপডেট ০১:০৬ পিএম ২০ অক্টোবর, ২০১৫ মঙ্গলবার

ডিএইচ

Share