কচুয়া

কচুয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা

শীতের শুরু থেকেই শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষকরা। শীত মৌসুমের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে গত বছর বেশ লাভবান হওয়ায় এবারো সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। কম খরচে ভাল ফলন পাওয়ায় এবং বাজারে সবজির দাম ভাল থাকায় সবজি চাষে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সবজি ক্ষেতের পাশাপাশি অনেক সৌখিন চাষীরা বাড়ির আঙ্গিনায় শীতকালীন সবজি চাষ করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ করে ভূঁইয়ারা,আইনপুর,গুলবাহর,রহিমানগর,মেঘদাইর ও সেঙ্গুয়া গ্রামে ঘুরে মাঠ জুড়ে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি ফুলকপি,বাঁধাকপি,শালগম,শিম,মিষ্টি কুমড়া,টমেটো,পালং ও লালশাকসহ নানা জাতের সবজি। শীতকালীন রকমারি সবজি নিয়ে কৃষকরা দিনের সিংহভাগ সময় ক্ষেত পরিচর্চা করছেন। আগাম সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৪৯০ হেক্টর জমিতে কিন্তু এবার চাষ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত উৎপাদিত সবজির লক্ষমাত্রা দ্বিগুন অতিক্রম করবে।

ভূঁইয়ারা গ্রামের সবজি চাষী মনির হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৩শ’ শতক জমিতে বাধাকপি,ফুলকপি,মাসকালাইসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। কীটনাশক প্রয়োগ না করায় উৎপাদিত এসব সবজি চাহিদাও রয়েছে বেশ। তাই শীতকালীন সবজি চাষে খরচ কম লাগে। এতে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

সেঙ্গুয়া গ্রামের কৃষক আয়াত আলী চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ৯০ শতক জমির উপর প্রতিবছর সবজি চাষ করি। এতে করে যে পরিমান খরচ হয় দাম পেলে তার চেয়েও অনেক লাভবান হওয়া যায়। এবছর সবজির দাম পেলে হয়তো আগামীতে আরো বেশি করে সবজি চাষাবাদ করব।

আইনপুর গ্রামের সবজি চাষী মনির হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ১৩২ শতক জমিতে এবছর আমি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করেছি। আশা করছি দাম ভালো পেলে আমরা অনেকটাই লাভবান হবো।

কৃষক আবুল বাসার জানান, এবছর আগাম সবজি চাষ করার ফলে ঘূর্নিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমার অনেকাংশে ক্ষতি হয়েছে। পূনরায় আমি নতুন করে সবজির চারা রোপন করছি। আশা করছি সবজির ফলন ভালো হলে দাম পাওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কম খরচে শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা অনেক লাভবান হয়েছেন। তাই এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা সরাসরি জমি থেকে ক্রয় করে নিয়ে যান।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু

Share