চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী বোয়ালজুড়ি খালের পাশে অবস্থিত ১২৪নং কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি খালের পাশে নির্মিত হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষার পানি ও অন্যান্য কারনে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ভবন ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
এদিকে প্রধান শিক্ষক মো. কবির আহমেদ বলেছেন, ভবনটির দ্বিতল নির্মান ও গাইড ওয়াল নির্মানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের কচুয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা কান্দিরপাড় গ্রাম। এই গ্রামের পাশে রয়েছে পাশ্ববর্তী উপজেলা মতলব। দুই উপজেলার মধ্য দিয়ে বোয়ালজুড়ি খালের অবস্থান। ১৯৮৮ সালে খালের পূর্ব পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১২৪নং কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে উন্নয়নের ছোয়া দুরের কথা ও সংস্কার করা হয়নি।
স্কুলের সামনের সিড়ি গুলো ফাটল দেখা দেয়া দিয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে জীর্ণ ভবনটি। কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৃত্যু ভয় নিয়েই চলছে ১২৫ জন শিশু শিক্ষার্থীর পাঠদান (ক্লাস)। পাঠদান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা বাইরে এসে খালে পড়ে মৃত্যুর ঝুকিঁতে রয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্কুল ভবনটি জীর্ন হয়ে পড়েছে। পাশে বোয়ালজুড়ি বিশাল খাল থাকায় ঝুকিতে রয়েছে বিদ্যালয় ভবনটি। খাল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষা করার জন্য মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,চাঁদপুর জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এইচ শাহরিয়ার রসুল চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে বোয়ালজুড়ি খাল দিয়ে বিভিন্ন নৌযান চলাচল করে। এসএমসি ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক অবগত করা হয়েছে।
পাশাপাশি বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে ধসে পড়া রোধের জন্য আর্থিক বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু