বৃহস্পতিবার(১ সেপ্টেম্বের) দুপুরে কার্জন হলের পাশে আমাদের ভার্সিটির বাসগুলোর পাশে ফুটপাতের ওপরে একটি সাতদিন বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে এই মহিলাকে শুয়ে থাকতে দেখি ।
অবশ্য ওনাকে মহিলা বলার চেয়ে কিশোরী / শিশু বলাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত । ওনার বয়স ১৫ – ১৬ বলে আমার ধারণা । চারিদিকে কি বিশ্রী কোলাহল , ধুলাবালি ,আর দুপুরের প্রচণ্ড গরম, তার মাঝে মাত্র একটা পোস্টারের ওপরে এই মা তার বাচ্চাটিকে শোয়ায়ে রেখেছে । সত্যিই চোখ ফেটে পানি আসার অবস্থা।
কিন্তু কেউ এই হতভাগা মায়ের দিকে ফিরে ও তাকাচ্ছে না। তাদের কাছে খাওয়ার মতো কিছু নাই, এক ফোটা পানি ও নাই। আমি সামান্য কিছু খাবার কিনে দিয়েছিলাম,কিছু টাকা ও দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রসূতি মায়ের জন্য যে খাবার দরকার তা আমি দিতে পারিনি ।
আমি মানলাম যে , এই মা অন্যায়ভাবে গর্ভ ধারণ করেছে, মানলাম বিবাহ বহিভূর্ত সে গর্ভ ধারণ করেছে। সে খুব খারাপ ইত্যাদি ইত্যাদি ।
যদিও সে বলেছে তার স্বামী তাকে ফেলে চলে গেছে … ইত্যাদি। কিন্তু সে অতি আধুনিকাদের মত তো বাচ্চাটাকে ফেলে দেয়নি,বাচ্চাটাকে মারার চেষ্টা করেনি । বরং নিজের আচল দিয়ে বাচ্চাটাকে জড়িয়ে রেখেছে ।
আর ৭ দিনের শিশু,ও তো কোনও অন্যায় করেনি, ওর প্রতি তো এই সমাজের দয়া মায়া থাকার কথা। মহিলা/কিশোরীটি বলল যে – ৪ মাস আগে নাকি তার স্বামী তাকে তালাক দিছে,মেডিকেল থেকে বাচ্চার জন্মের ৫ম দিনের দিন বের করে দিয়েছে।
আমি জানি ঢাকা শহরে অনেক সরকারি বেসরকারি,স্বেচ্ছাসেবী অনেক সংস্থা এই রকম ফুটপাতে পরে থাকা অসহায় শিশুদের ভরণ পোষন করে থাকে । প্লিজ সবার কাছে অনুরোধ ৭ দিনের বাচ্চার মায়াবী চেহেরাটার কথা মনে করে ওর জন্য আপনি যদি কিছু করতে পারলে করেন।
কোনও প্রতিষ্ঠানকে বলে যদি কিছু করা যায় করেন। ওই বাচ্চাটা আমি / আপনি ও হতে পারতাম। কারণ জন্মের উপর কারো হাত থাকে না। সৃষ্টিকর্তা ওই মায়ের কোলে আমাকে/ আপনাকে ও পাঠাতে পারতেন।’
ঠিক এমনই একটি আবেদন ফেসবুক জুড়ে পড়েছে। সম্ভবত ইব্রাহিম খলিল একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রথমে নিজের ফেসবুকে এই নবজাতক ও মায়ের ছবিটি পোস্ট করে ওপরের কথা গুলো যুক্ত করে দেন। এরপর থেকেই ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান।(কালেরকন্ঠ)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৫০ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, বৃহস্পতিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur