দীর্ঘ দুই মাসেও সন্ধান মিলেনি পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু খাজিদার। শিশুটির কোন খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় তার বাবা-মা। অজানা শঙ্কায় চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তার স্বজনদের। খাদিজাকে ফিরে পেতে মরিয়া তার পরিবার।
এদিকে শিশুটির খোঁজে সকল ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অচিরেই শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তারা। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর তার মা। মেয়ের পড়নের কাপড় স্পর্শ করে তাকে ছুয়ে দেখার অনুভূতি নিচ্ছেন। সন্তানের কথা স্মরণ হতেই চোখ বেয়ে অশ্রæ গড়িয়ে পড়ছে নিচে।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ছোট তুলা গ্রামের মো.সাব্বির হোসেন আব্দুল্লাহ ও ফাতেমা আক্তার দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী শিশু খাদিজা আক্তার মায়া।
গত ১১ এপ্রিল নিজ বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করার সময় হঠাৎ করেই উদাও হয়ে যায়। ঘটনার দিনই নিখোঁজ শিশুর শিশুর মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। যা পরে সন্দেহজনক দুই যুবককে আসামী করে অপহরণ মামলায় রূপান্তর হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এই মামলার দুই আসামি রবিউল আলম ও তার ভাই মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গত কয়েক দিন আগে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজ শিশু খাদিজার মা ফাতেমা বেগম বলেন, এর আগে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই টাকা না পেয়ে প্রতিবেশী রবিউল আলম (২৫) ও তার ভাই মো. ফরহাদ (৩০) ক্ষুব্ধ হয়ে অপহরণ করেছে তার শিশুকে। যে করেই হোক তার শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন নিখোঁজ শিশুর মা।
দাদি নাজমুন নাহার শেফালী ও দাদা শাজাহান কবির বলেন, খাদিজাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছে তার পরিবারের সদস্যরা। কতদিন হয়ে গেছে খাদিজার খোঁজ নেই। আমরা দ্রুত খাদিজার সন্ধান চাই। শুধু পরিবারের সদস্যরাই নয়, নিখোঁজ শিশু খাদিজাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরাও।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সব রকম চেষ্টাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্তে অনেক তথ্য পেয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে আমরা ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। অচিরেই খাদিজাকে তার পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে পারবে বলে আশাবাদী পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,৬ জুন ২০২১