‘বালিশচাপা’ দিয়ে ৯ দিনের কন্যা শিশু হত্যা

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকালে ৯ দিন বয়সী কন্যা শিশুকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় রিংকু খা নামে নিহত শিশুটির বড় চাচা পালাতক রয়েছে।

নিহত শিশুর বাবা সাঈদ খাঁ এ সময় বাড়িতে ছিলেন না। এদিকে শিশু হত্যার ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লেগেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, কলমনখালী গ্রামের আব্দুল মজিদ খাঁর ছেলে সাঈদ খা একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে আফরিনা খাতুনকে ভালবেসে বিয়ে করেন। কিন্তুু এ বিয়েতে সাঈদের পরিবারের সবাই রাজি হলেও বড় ভাই রিংকু খা রাজি ছিলেন না। বিয়ের পর সাঈদ আফরিন দম্পতির কোল জুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান। সন্তানটি নিয়ে তারা সুখেই ছিল।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে মা আফরিন সংসারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তার বড় ভাসুর রিংকু খা ঘরে ঢুকে ৯ দিনের শিশু বাচ্চাকে ‘বালিশ চাপা’ দিয়ে ‘হত্যা’ করে পালিয়ে যায়।

নিহত শিশুর নানা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, তার ৯ দিন বয়সের নাতনিকে এভাবে হত্যা করা হবে তা কল্পনাও করেত পারছি না।

তিনি আরো জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী মনুষ থানায় যেতে বাঁধা প্রদান করছে।

এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যান ফয়জুল্লাহ ফয়েজ চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদককে জানান, তিনি শিশু হত্যার ঘটনা শুনেছেন। তবে বিস্তারিত কিছুই জানেন না।

প্রতিবেশি একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘বিয়ের আগেই আফরিনের গর্ভে শিশুটির জন্ম হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে পরে সাঈদ ও আফরিনের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু এ বিয়ে মেনে নেয়নি বড় ভাই রিংকু। এ জনই হয়তো শিশুটিকে হত্যা করা হতে পারে।’

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার চাঁদপুর টাইমস প্রতিবেদককে জানান, ‘মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলার কলমনখালী গ্রামে ৯ দিন বয়সের এক শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনা সঠিক হলে অবশ্যই থানায় মামলা রেকর্ড করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

About The Author

প্রতিবেদক- জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট
Share