Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সফরমালী গরু বাজার প্রসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও বক্তব্য
No Pic Chandpur Times
এ সংবাদের সংশ্লিষ্ট ছবি প্রকাশ হয়নি।

চাঁদপুর সফরমালী গরু বাজার প্রসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও বক্তব্য

গত ১৮ জুলাই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে চাঁদপুর সফরমালী গরু বাজার প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে যে সব তথ্য উপস্থাপন করা হয় তাহা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,মনগড়া, কতিপয় লোভী ও চাঁদাবাজ ব্যক্তির কল্পকাহিনী বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাজার কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদে জানানো হয়, ‘সফরমালী গরুর বাজার কল্যাণপুরে ইউনিয়নে নয়, ইহা বিষ্ণপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। যা বহুবছর পূর্বে (১৯৩৬ সনে) বাজারটি বর্তমান স্থান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ মাইল পশ্চিমে (বর্তমান নদীতে) প্রজাপর্দ্দি মৌজায় সাবেক এম পি মরহুম হারুন অর রশিদ খান এবং পূর্বসুরীগণ তাঁদের নিজ অর্থে নিজ জায়গায় বাজারটি প্রতিষ্ঠা করেন।’

এ বাজারটি ৩-৪ বার মেঘনা নদী ভাঙ্গনে তলিয়ে যায়। অত:পর স্থানীয় জনগণ ও বাজারের দোকানদারগণের অনুরোধে এবং স্থানীয়দের প্রয়োজনে সাবেক এমপি মরহুম হারুন অর রশিদ খান তাঁর নিজের জমির ওপর নিজ অর্থ ব্যয় করে বর্তমান স্থানে একটি বাজার প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বাজারটি পূর্ণতা গ্রহণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।

এমতাবস্থায় মরহুম হারুন অর রশিদ খান তৎকালীন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন যে, এখানে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে বাজারটি জমতে পারে। সে মতে বিভিন্ন বেপারীদেরকে প্রচুর অগ্রীম অর্থ প্রদান করে গরু ক্রয়ে বাজারে আনার উদ্যোগ নেন।

গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামশ ক্রমে আরো সিদ্ধান্ত নেন যে, বাজারে বিক্রিত গরুর ওপর নাম মাত্র নির্দিষ্ট হারে হাসিল আদায় হবে ও আয়কৃত অর্থ দ্বারা জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে ও বাজার পরিচালকদের শ্রমের মুজুরি প্রদান করা হবে। ওই সিদ্ধান্ত মতেই এ পর্যন্ত এলাকার বহু মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদ ও বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে করা ।

মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে অন্যতম ও উল্লেখ্যযোগ্য হলো : মাওলানা আবদুল খালেক সাহেবের বাড়ির মাদ্রাসা (কল্যাণপুর),মুন্সীর হাট মাদ্রাসা (মতলব দক্ষিণ), দাসাদী মাদ্রাসা (কল্যাণপুর),লালদিয়া মাদ্রাসা (আশিকাটি),আহাম্মাদিয়া মাদ্রাসা (বিষ্ণুপুর),আল ফারুকিয়া মাদ্রাসা (বিষ্ণপুর),মাওলানা রফিক মাদ্রাসা (তরপুরচন্ডী),মাওলানা সিরাজ মাদ্রাসা (বড় স্টেশন),ইচুলী মাদ্রাসা (পাটওয়ারী বাড়ি) বাহাদুরপুর মাদ্রাসা (শরিয়তপুর)।

এ দিকে এ অর্থ হতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ,দুস্থ,অনাথ,অসহায় পিতামাতার কন্যার বিয়ে খরচ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর রমজান মাসে কয়েক শ’ পরিবারের মাঝে ১ মাসের খাদ্য সামগ্রি সহ ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। এলাকায় একাধিক কবরস্থান তৈরি ও সংস্কার এর কাজ করা হচ্ছে ।

প্রতি সপ্তাহ একবার নামমাত্র হাসিল গ্রহণ করা হয় তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি এ সব জনহিতকর ও ধর্মীয় কাজে খরচ করা হয়। বাজারের আয় হতে অতিরিক্ত ব্যয় এর সমস্ত অর্থ সাবেক এমপি মরহুম হারুন-উর-রশিদ খান তাঁর নিজ উপার্জনের অর্থ হতে ব্যয় করতেন। বর্তমানে (বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরকারীর) পিতার অছিয়ত অনুযায়ী তার ওয়ারিশগণ বংশের ঐতিহ্য ও সুনামের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নিজ তহবিলের অর্থ ব্যয় করে আসছে।

এ বাজারের বিষয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্যে মাঝে মাঝে চাঁদা দাবি করে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাজারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকে। ফলে আমাদের এ বাজারের বিষয় মাননীয় উচ্চ আদালতে মামলা চলমান আছে।

আমরা আমাদের নিজ উদ্যোগে নিজ অর্থ ব্যয় করে বাজার প্রতিষ্ঠা করে তা’দ্বারা এলাকার মানুষের এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের যে উন্নয়ন সাধন করে আসছে তা’ চাঁদপুর জেলার সচেতন মানুষই জ্ঞাত আছেন।

সুতরাং, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত সংবাদটি আমাদের পরিবারের মানসম্মান ক্ষুন্ন করেছে। তাই আমাদের পরিবারের পক্ষে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

পরিচালনাকারীদের পক্ষে-মো.শাহজাহান হোসেন খান আজাদ
(স্বাক্ষরিত)
সফরমালী গরুর হাট বাজার,
চাঁদপুর সদর ,চাঁদপুর।
বিজ্ঞপ্তি
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ০০ পিএম,২৬ জুলাই ২০১৭,বুধবার
ডিএইচ

Leave a Reply