শিশুদের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে হবে : সুজিত রায় নন্দী

জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চাঁদপুর জেলার বাছাই প্রতিযোগিতা ৫ মে শুক্রবার সকাল ১০ টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ আমির উদ্দিন ভূইয়া মন্টুর সঞ্চালনায় বাছাই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাছাই প্রতিযোগিতায় চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলার প্রায় কয়েক শতাধিক প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করে।

নৃত্য প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন নুরে আলম চন্দন (ঢাকা) ও সুদিপ্ত দত্ত( চট্টগ্রাম)।সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সতেন্দ চক্রবর্তী ( চট্টগ্রাম) ও দিপন্কর চক্রবর্তী ( ঢাকা)। আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শামিম আহমেদ। একক অভিনয় প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তমাল ভৌমিক।

চারটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্র সংগীত, ছড়া গান,দেশাত্মবোধক সংগীত, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, কবিতা আবৃতি ও একক অভিনয়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেল ৫ টায় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আজকে বঙ্গবন্ধু সহ শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি। যার জম্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি তার জম্ম হত না। বঙ্গবন্ধুর জম্ম না হলে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারতাম না। যার জম্ম না হলো আমাদের জাতীয় পতাকা উড়ত না। আমাদের সেই মহান নেতা, মহান শিক্ষক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে যারা আত্মাহুতে দিয়েছে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা দীর্ঘদিন ধরে এ শিশুদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জম্মদিন উপলক্ষে সাংস্কুৃতিক অনুষ্ঠান করছে।বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জিবন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রচনা প্রতিযোগিতা, কূইজ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করে আসছে।বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্র কমিটি মিয়া মোহাম্মদ মনসুর চাঁদপুরে আসার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেনি। তিনি আমাকে বলেছেন যেন জেলা পর্যায়ে ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু কে জানতে হলে বাংলাদেশ কে জানতে হবে।আমাদের এসব কোমলমতি শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে। আমি তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী দিব। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের শাষন শোষনের বিরুদ্ধে ২৩ বছর সংগ্রাম করেছে। ১ যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে কাটিয়েছে।সে জন্য বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে অসমাপ্ত আত্মজীবনী লিখেছেন। আমরা চাই এ সংগঠনটি কে আরো শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগের মাধ্যমে নয় এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কাজ করে সে সব সংগঠনের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে।বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশ্ব দু ভাগে বিভক্ত এক দিকে শোষক আরেক দিকে সুশীত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনা পিতার পথ ধরে হাটছেন। দেশের দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু এদেশের ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তোমাদের কলম হোক শোষণ মুক্তির হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে আমাদের বুকে ধারন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের জানতে হবে।আজকে কোমলমতি শিশুরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ওশেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে হবে। তোমাদের কে পড়া লেখা করতে হবে। তোমাদের কে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না সুশিক্ষিত হতে হবে। বর্তমানে মেধার প্রতিযোগিতা চলছে তথ্য প্রযুক্তির যোগে। এ মেধার প্রতিযোগিতায় তোমাদের টিকে থাকতে হবে। তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। তোমাদের মাঝ থেকেই আগামী দিনে দেশ ও জাতীর নেতৃত্ব দিবে। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব বাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ হলো সম্প্রীতির মডেল। শেখ হাসিনা হলো সততার প্রতীক। তিনি হচ্ছেন মানবতার প্রতীক। তিনি হলেন মানবতার মা। শেখ হাসিনার আলোকিত বাংলাদেশ কে যারা অন্ধকারে নিয়ে যেতে চায় সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর মধ্য দিয়ে এ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা বাছাই প্রতিযোগিতায় যারা বিজয়ী হয়ে তোমরা জাতীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহন করে চাঁদপুরের সুনাম বয়ে আনবে এ প্রত্যাশাই করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদক পাটোয়ারী দুলাল।

আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম,দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম, স্প্রেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নয়ন,ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ আলী হোসেন মজুমদারসহ নেতৃবিন্দু। পরে বিজয়ী প্রতিযোগিদের মাঝে অতিথিগণ সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।

প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ৬ মে ২০২৩

Share