দেশের সব শিল্প-কারখানা ও গার্মেন্টসগুলোতে দু’মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম.এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাড.ইশরাত হাসান।
আদালত থেকে বেরিয়ে ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪ (৭) ধারায় বলা হয়েছে,উক্তরূপ কোনো কক্ষ যথেষ্ট আসবাবপত্র দ্বারা সজ্জিত থাকিবে এবং বিশেষ করে প্রত্যেক শিশুর জন্য বিছানাসহ একটি খাট বা দোলনা থাকিবে এবং প্রত্যেক মা যখন শিশুকে দুধ পান করাবেন বা পরিচর্যা করিবেন তখন তাহার ব্যবহারের জন্য অন্তত: একটি চেয়ার বা এ প্রকারের কোনো আসন থাকবে এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত খেলনার সরবরাহ থাকবে।
তিনি জানান, ২০০৬ সালে এটা করার জন্য আইন করা হয়েছে। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গার্মেন্টসসহ দেশের সকল কল কারখানায় দু’মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ পালন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ৯ মাস বয়সী এক শিশু উমাইর ও তার মা ইশরাত হাসানের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,কর্মস্থল, হাসপাতাল,শপিং মল,বিমানবন্দর,বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, মায়েরা দুধ পান করা শিশুদের নিয়ে জনসমাগমস্থলে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়েন। তাই এমন পরিবেশে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে হবে যেখানে কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে যেন কোনো অস্বস্তি বোধ না করেন। এ কারণে রিট করা হয়েছে।
বার্তা কক্ষ , ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০